এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রাম ঘিরে অশান্তির আশংকা-নির্বাচন কমিশনকে লেখা তৃণমূল সাংসদের চিঠি সেকথাই বলছে

নন্দীগ্রাম ঘিরে অশান্তির আশংকা-নির্বাচন কমিশনকে লেখা তৃণমূল সাংসদের চিঠি সেকথাই বলছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাংলা সহ দেশের নজর ছিল শুধুমাত্র একটি হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের ওপর এবং সেটি যে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। গতকাল নন্দীগ্রামসহ বাংলার 30 টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তবে কালকের সারাদিনের ভোটে রাজনৈতিক উত্তেজনাও ছিল চরমে।

 কোথাও তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ, আবার কোথাও বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভোট কারচুপির। দিনের শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে অভিযোগ-প্রতি অভিযোগ চলেছে। কিন্তু এবার ভোট মেটার পর তৃণমূল সাংসদের লেখা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি নতুন আশংকা তৈরী করল।

গতকাল ভোট মেটার পর তৃণমূল সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের আশঙ্কা করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন বলে জানা গিয়েছে। আর এই চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার থেকে একমাত্র দিব্যেন্দু অধিকারী বাদ দিয়ে আর কেউ বাকি নেই বিজেপি শিবিরে নাম লেখাতে। 

শুভেন্দু অধিকারী তো প্রথমেই চলে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। দাদার পেছনে পেছনে ছোটোভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। সবশেষে বাবা বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীও অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও তৃণমূল সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী কিন্তু এখনো তৃণমূলেই রয়ে গেছেন। 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার তিনি নন্দীগ্রামের অর্থাৎ তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিশেষ কিছু স্পর্শকাতর স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি তাঁর উদ্বেগ তুলে ধরেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নন্দীগ্রামের সংখ্যালঘুদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে এখানে বরাবরই সম্প্রীতির পরিবেশ দেখা গিয়েছে। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের প্রথম থেকেই এ রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণ দিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। আর তাতেই অশান্তির আশঙ্কা কি তৈরি হয়েছে তৃণমূল সাংসদের মনে?

পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি চিঠি যেভাবে সামনে এসেছে তাতে রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই ধারণা, শাসকদলের জনপ্রতিনিধি যখন আশংকা প্রকাশ করছেন, তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা হতে চলেছে। অন্যদিকে এই চিঠি সামনে আসায় অনেকেই মনে করছেন, নিরপেক্ষভাবে চিঠি লিখলেও আঙুল কিন্তু তোলা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। 

যেহেতু ধর্মীয় মেরুকরণের বার্তা সব সময় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকেই আসে, তাই নন্দীগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার কথাও সে দিকেই ইঙ্গিত করে লেখা কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে কোন ইঙ্গিত থেকে তৃণমূল সাংসদ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই চিঠি ঘিরে যে জলঘোলা শুরু হয়েছে সে কথা স্পষ্ট।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!