এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর, বাড়ছে বিতর্ক

নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর, বাড়ছে বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সময়ের সাথে সাথে উত্তেজনা বাড়ছে নন্দীগ্রাম মামলা ঘিরে। নন্দীগ্রাম মামলা এবার অন্যত্র সরানোর দাবী নিয়ে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই নন্দীগ্রাম এখনো পর্যন্ত রয়ে গেছে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ছিল হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। কারণ এই নন্দীগ্রাম থেকেই লড়াইয়ে নেমেছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত এই লড়াইতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীকে হারিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সেই হারকে নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে থাকে।

অবশেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম মামলা অন্যত্র সরানো আবেদন জানালেন দেশের শীর্ষ আদালতে। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই বিচারক কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে সরে গিয়েছে বিচারক শম্পা সরকারের এজলাসে। আর এই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। পাশাপাশি এদিন নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। জানা গিয়েছে, বিচারপতি শম্পা সরকার নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম মামলার সমস্ত পক্ষকেই নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, নির্বাচন কমিশন এবং নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারকে এবার আদালতে হাজিরা দিতে হবে। জানা গেছে আগামী 12 ই আগস্ট নন্দীগ্রাম মামলার পরবর্তী শুনানি শুরু হতে চলেছে। এর আগে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে ব্যাপক আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ উঠেছিল বিচারপতি কোশিক চন্দের বিজেপি যোগ থাকা নিয়ে। এরপর তড়িঘড়ি মামলা থেকে নিজেই সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তবে বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে 5 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

এই জরিমানা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে মামলা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টের  শুনানি শেষ হওয়া মাত্রই সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর দাবী নিয়ে। নন্দীগ্রাম মামলা হাইকোর্টে থাকলে তা প্রভাবিত করতে পারে শাসকদল, সেক্ষেত্রে সঠিক বিচার হবেনা বলে তাঁর বিশ্বাস। নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে এই মুহূর্তে চলছে ব্যাপক চাপানউতোর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নন্দীগ্রাম মামলায় তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ যদি কোনোভাবে সত্যি হয়ে যায়, তাহলে বড়োসড়ো চাপে পড়বেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। কার্যত তার বিধায়ক পদ থাকবে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই মুহূর্তে নজর নন্দীগ্রাম নিয়ে হাইকোর্টের আগামী শুনানির দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!