এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রাম নিয়ে তৃণমূল- বিজেপির দড়ি টানাটানি, আসরে নামলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য!

নন্দীগ্রাম নিয়ে তৃণমূল- বিজেপির দড়ি টানাটানি, আসরে নামলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে তৎকালীন তৃণমূল নেত্রী তথা আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার নন্দীগ্রামে সভা-সমিতির মধ্যে দিয়ে সিপিএম এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন।

বর্তমানে অসুস্থতার কারণে সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অনেকদিন থেকেই সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। সেভাবে রাজনীতির আলোতে দেখা যায় না তাকে। কিন্তু বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে।নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী তার বিরুদ্ধে পদ্মফুলের টিকিট নিয়ে লড়াই করছেন।

আগামী পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। আর তার আগে নন্দীগ্রামের আন্দোলন নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। আর এই পরিস্থিতিতে নিজের বিবৃতি দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যেখানে নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈরথের মাঝে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, “নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে এখন শ্মশানের নীরবতা। সেই সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুবসমাজ।” বলা বাহুল্য, নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তৎকালীন বাম সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছিল, তখন সিপিএমকে পাল্টা বিবৃতি দিতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বারবার বলেছিলেন, “কারো ক্ষতি করে জমি কেড়ে নেওয়া হবে না।”

কিন্তু তা স্বত্তেও সেই সময়ে সিপিএমের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু এখন তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে সেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে একে অপরের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে একাংশ বলছেন, তাহলে কি সেই সময় বামেদের অবস্থান ঠিক ছিল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই দুই পক্ষ এখন নিজেদের অবস্থানকে একে অপরের সাথে বিরোধিতার কারণেই যে তাকে ভুল বলেছিল, তাতেই ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, সিপিএমের শিল্প করার নীতি অত্যন্ত সদর্থক ছিল। কিন্তু তৃণমূলের বিরোধীতার কারণে সেই সময়ে তা সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল এবং বিজেপিকে যখন বামেদের একাংশ এভাবে দায়ী করতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই মুখ খুলে দুই পক্ষের চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

বলা বাহুল্য, নন্দীগ্রামের গুলি চালানোর ঘটনায় রবিবার শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করি। পরে শুনেছিলাম, এই বাপ-বেটার পারমিশন ছাড়া সেদিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, সিপিএমের হার্মাদরা ওদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”

আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয় শোরগোল। আর এই ব্যাপারে দীর্ঘদিন পর বিবৃতি দিয়ে কার্যত আসর মাতিয়ে দিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একাংশ বলছেন এর ফলে কিছুটা পিছিয়ে পড়া সিপিএম তথা সংযুক্ত মোর্চা অনেকটাই অক্সিজেন পেয়ে গেল। পাশাপাশি এই ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজিপির দুই দল কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!