এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নন্দীগ্রামে সমর্থন কমছে তৃণমূলের! চিন্তার ভাঁজ শুভেন্দু অধিকারীর কপালে

নন্দীগ্রামে সমর্থন কমছে তৃণমূলের! চিন্তার ভাঁজ শুভেন্দু অধিকারীর কপালে


2011 সালের আগে সিঙ্গুর যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল, ঠিক তেমনই নন্দীগ্রামের ভূমিকাও এক্ষেত্রে অপরিহার্য। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন নিঃসন্দেহে শাসকদল বামফ্রন্টের গদি নাড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে 2011 সালের রাজ্যের ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে একসময়ের আন্দোলনের পিঠস্থান সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে যেভাবে তৃণমূলের সমর্থন দিনকে দিন কমে আসতে শুরু করেছে, তাতে রীতিমত চিন্তার ভাঁজ পড়ল শাসকদলের হেভিওয়েট নেতার কপালে।

জানা গেছে, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী 1 লক্ষ 40 হাজারের মতো ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে সেই ভোট কমে এসেছে প্রায় 70 হাজারের মত। যেখানে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে মোট 69 হাজার ভোটে। আর একসময় জমি আন্দোলনের পীঠস্থান তৃণমূলের ক্ষেত্রে সেফসিট বলে পরিচিত নন্দীগ্রামের এই দশা নিয়ে উস্মা প্রকাশ করতে দেখা গেল এখানকার বিধায়ক তথা হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দলের নেতাকর্মীদের কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “কোথায় ত্রুটি আছে তা তিনি জানার চেষ্টা করছেন। দলের কারো বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলে সেখানে উপস্থিত কেউ তার কাছে গিয়ে বলতে পারেন।” কিন্তু তাকে মাইকে বলতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী।

এদিকে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী নিজের গড় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করায় এবার উজ্জীবিত হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী বুঝতে পেরেছেন, সময় ভালো যাচ্ছে না। আর তাই তো এবার দলের কর্মীদের কাছে এর উত্তর খুঁজছেন তিনি।

তবে এসব করে কিছু লাভ হবে না। আগামী বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসবে। তবে বিরোধীরা যাই বলুক না কেন, বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছেন, যেভাবে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী নিজের গড় নন্দীগ্রামে ভোট কমা নিয়ে উস্মা প্রকাশ করলেন, তাতে নিঃসন্দেহে নন্দীগ্রাম নিয়ে এবার তৃণমূলের ভাবনা চিন্তা করা উচিত। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে এগোয়! সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!