নন্দীগ্রামের আহত মমতা, বিস্ফোরক শিশির অধিকারী! তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য March 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। কিছুদিন আগেই দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তার মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারী এখন ভারতীয় জনতা পার্টির নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। তবে তার দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নন্দীগ্রাম বিধানসভায় তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সেভাবে শিশির অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে, প্রচারে বা দলের সমর্থনে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনেকদিন ধরেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে বুধবার নন্দীগ্রামে পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই একাংশ এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন কাথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, “রাস্তার ধারে খুঁটিতে লেগেই বিপত্তি হয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষ ষড়যন্ত্র জানে না। নন্দীগ্রামের মানুষ আন্দোলন করতে জানেন। নিরাপত্তারক্ষীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি আবার নন্দীগ্রামে ফিরে আসুন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, বিজেপির সুরেই সুর মেলাতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে। নিজের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের করা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করে দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, দলের একাংশ এই ঘটনায় যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দেখছেন, তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশির অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার রীতিমত আলোড়ন তৈরি হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পায়ে চোট লাগার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, চার-পাচজন মিলে দরজার কাছে ধাক্কা দিয়েছে। এমনকি এটা জেনে বুঝেই করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মী এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করতে শুরু করেছিলেন। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছিল। তাদের পাল্টা দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী যে ধরনের বিবৃতি দিলেন, তা তৃণমূলের অস্বস্তি যথেষ্ট বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -