প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রীতিমত চাপে পড়েই এবার শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে লড়াই করতে নেমেছেন বলে দাবি একাংশের। প্রতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি লড়াই করলেও কেন এবার নন্দীগ্রামে লড়াই করতে নামছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ব্যাপারে কটাক্ষ করেছেন তার প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নন্দীগ্রাম বিধানসভার ভোটার নন বলেও তাকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতারা। তবে এবার সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বহিরাগত ইস্যুতে জবাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, আজ নন্দীগ্রামের জনসভা উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “কেউ কেউ বলছেন আমি বহিরাগত। আমি তো বাংলার মেয়ে আমি এখানকার আন্দোলনকারী। আমাকে কি করে বহিরাগত বলে! গুজরাট থেকে, দিল্লি থেকে এখানে এসে আপনারা বাংলার লোক হয়ে গেলেন। আর আমি বহিরাগত! তাহলে তো আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই উচিত নয়।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পক্ষ নিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরকে ব্যাট করে ছক্কা হাঁকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন।

নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি আন্দোলন করা লোক। এক সময় এই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তার নেতৃত্বেই আন্দোলন হয়েছিল। তাই তিনি নন্দীগ্রামের ঘরের মেয়ে। তবে অনেকে আবার বলছেন, হঠাৎ করে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের পক্ষ নিয়ে বহিরাগত ইস্যুতে জবাব দিতে হল? পর্যবেক্ষকদের দাবি, নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্রের নাম শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একসময় লড়াই হলেও স্থানীয় স্তরে এই লড়াইকে বিস্তার লাভ করার পেছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব রয়েছে শুভেন্দুবাবুর।

সেদিক থেকে এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রতিপক্ষ টিমের নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতেই নন্দীগ্রামে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাকে “বহিরাগত” বলে দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধী পক্ষ। তবে তিনি যে বহিরাগত নন, এবার তার স্বপক্ষে আওয়াজ তুলে বিরোধীদের মন্তব্যের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।