এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রামে জয়ী হতেই শুভেন্দুকে হেনস্থা, জয়লাভ করতেই বদলা রাস্তা বেছে নিল তৃণমূল?

নন্দীগ্রামে জয়ী হতেই শুভেন্দুকে হেনস্থা, জয়লাভ করতেই বদলা রাস্তা বেছে নিল তৃণমূল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুধু গোটা রাজ্য নয়, গোটা দেশের নজর ছিল বাংলার নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে। রবিবার বেলা বাড়তেই চিত্রটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। রাজ্যের ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে বিজেপি আত্মপ্রত্যয়ী হলেও, গোটা রাজ্যে তারা মুখ থুবরে পড়ে। তবে যে নন্দীগ্রাম নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত নানা নাটকীয় টানাপোড়েনের পর সেই নন্দীগ্রামে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করতে না করতেই তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল নন্দীগ্রামে।

স্বাভাবিক ভাবেই গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করার পরেই, নন্দীগ্রামে বিরোধী দলের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করতেই কেন তাকে বিক্ষোভ দেখানো হল? এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। তাহলে কি ক্ষমতা দখল করার পরেই বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর বদলার রাস্তা বেছে নিতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস?

জানা যায়, এদিন জয়লাভ করার পর যখন হলদিয়ার গণনা কেন্দ্র থেকে বের হন শুভেন্দু অধিকারী, তখন তার গাড়ি ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মুহুর্মুহু উঠতে থাকে জয়বাংলা স্লোগান। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরবর্তীতে নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপদে বের করে নিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারীকে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার কারণে তাদের প্রার্থীর ওপর এই হামলা করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, এবার নন্দীগ্রাম কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দলের কাছে। রাজ্যের ক্ষমতা তারাই দখল করবে, যে দল নন্দীগ্রামে ক্ষমতা দখল করবে বলে মনে করা হয়েছিল। প্রথমদিকে শুভেন্দু অধিকারী এগিয়ে থাকলেও, পরবর্তীতে এগিয়ে থাকতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে শেষ রাউন্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত টেলিভিশন মিডিয়ায় দেখা যায়, জয়লাভ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এর কিছুক্ষণ পরেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, জয়লাভ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। আর হলদিয়ার গণনা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করার পর শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যেতে না যেতেই তাকে ঘিরে যে বিক্ষোভ দেখানো হল, তাতে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের আচরণ নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার কারণে কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারীর জয়লাভ বিজেপিকে কিছুটা হলেও মাইলেজ পাইয়ে দিয়েছে। 200 আসন দখলের কথা বলেও বিজেপি তা পূরণ করতে পারেনি। গোটা রাজ্যজুড়ে তারা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে নন্দীগ্রামের লড়াই তাদের কাছে বাঁচা-মড়ার যুদ্ধ ছিল।

কিন্তু সেই লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই সব আসনে জিতেও নন্দীগ্রামের পরাজয় সহ্য হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের। আর সেই কারণেই তারা বিজয়ী প্রার্থীর ওপর হামলা করার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ ভারতীয় জনতা পার্টির। সব মিলিয়ে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!