প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ নন্দীগ্রামের সভা থেকে যেন মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করার পর নন্দীগ্রামে যদি শুভেন্দুবাবু বিজেপির হয়ে দাঁড়ান, তাহলে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। এমনকি শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আদৌ নন্দীগ্রাম ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেই নিয়েও গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। অবশেষে নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে তিনিই আগামী দিনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্যের পর শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের উদ্যোগ, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।

আর তৃণমূল নেত্রী এই বক্তব্য প্রদানের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। তাহলে কি এবার নন্দীগ্রামের লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে! আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সব থেকে বেশি চমক থাকছে চলেছে নন্দীগ্রামে? তবে সেই সমস্ত কিছুর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কি বলা হয়, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। অবশেষে এই ব্যাপারে মুখ খুললেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, এদিন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই ব্যাপারে আপনি কি বলবেন? আর এই প্রশ্ন শোনার সাথে সাথেই মেজাজ হারাতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে নমস্কার করে “সরি” বলে মন্তব্য করেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর সংক্ষিপ্ত আকারে এই ধরনের বক্তব্য প্রদান নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নন্দীগ্রাম আসনে লড়াইয়ের ঘোষণাকে তিনি সূক্ষ্মভাবে এড়িয়ে যেতে চাইলেন! গুরুত্ব দিতে চাইলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? আর তাই “সরি” বলে আর এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা গেল না শুভেন্দু অধিকারীকে! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামের লড়াই যে জমজমাট হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যদি নন্দীগ্রামে বিজেপি টিকিটের না লড়াই করেন, তাহলে তিনি ভয় পেয়ে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলে দাবি করতে শুরু করবেন একাংশ। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই মাইলেজ পেয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে কি বিবৃতি দেন, তার দিকে তাকিয়েছিলেন সকলে। অবশেষে এই বিষয়ে তেমন ভাবে কোনো মন্তব্য না করে বরং গোটা ঘটনাকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে সাময়িকভাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী “সরি” বললেও পরবর্তীতে গোটা বিষয় নিয়ে তার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য সামনে আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।