এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে নিয়ে অস্বস্তির মাঝেই সিঙ্গুরে ফের অস্বস্তি! চাপে শাসক দল!

নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে নিয়ে অস্বস্তির মাঝেই সিঙ্গুরে ফের অস্বস্তি! চাপে শাসক দল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলে এই সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরেছে। দলের শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর সিঙ্গুর নিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়তে শুরু করেছে। মাঝে কিছুদিন হলেও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা থেকে বিরত ছিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

কিন্তু আবার স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল তাকে। যেখানে দলের স্থানীয় নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে সিঙ্গুরে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই ব্যাপারে দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্ত নেন, তা দেখেই তিনি তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যে এবার ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

সূত্রের খবর, এদিন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “যেখানে মানুষ আছেন, সংগঠনের সেই অংশের সঙ্গে যোগাযোগ না করে সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। দেড় মাস আগে এর সূত্রপাত হয়েছিল। প্রতিবাদ করায় মাননীয় নেত্রী রুখে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই গোবিন্দ ধারাকে সভাপতি করে আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে‌। গোবিন্দ ধারাকে কোনভাবেই সিঙ্গুর ব্লকের সভাপতি হিসেবে মেনে নিতে পারছি না।” কিন্তু দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা যদি তিনি মেনে না নেন, তাহলে তো দলে বিদ্রোহের সৃষ্টি হবে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বাবু বলেন, “দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানাব। যদি প্রতিকার না হয়, তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি তিনি দলবদলের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন? কেননা যদি দলের পক্ষ থেকে তার এই আপত্তির কারণ শোনা না হয়, তাহলে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে দলবদল করেছেন, এবার দল যদি তার কথা না শোনে, তাহলে তিনিও কি সেই পথেই হাঁটতে শুরু করবেন! এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, বিজেপি এখন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী একসময় তৃণমূলের গণ আন্দোলনের ফসল হওয়ায় সেই শুভেন্দুবাবুকে দিয়ে এখন বিজেপি তৃণমূলের ঘর ভাঙাতে চাইছে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের পর সিঙ্গুর তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার জন্য প্রধান ক্ষেত্র হলেও, এখন সেই সিঙ্গুরে তৃণমূলের বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে গোবিন্দ ধারাকে সভাপতি না মেনে যেভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য, তাতে অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

যদি রবীন্দ্রনাথবাবুর এই কথা তৃনমূল গুরুত্ব না দেয়, তাহলে তিনি যে দলবদলের মত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রবীণ বিধায়কের মান ভাঙাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!