এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদ কেস অতীত, শোভন-বৈশাখী-রত্না ত্রিশঙ্কু প্রেম কাজিয়া জারি, নাটকে নয়া মোর

নারদ কেস অতীত, শোভন-বৈশাখী-রত্না ত্রিশঙ্কু প্রেম কাজিয়া জারি, নাটকে নয়া মোর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নিজেদের সম্পর্ককে সর্বদা বন্ধুত্ব বলেই বিশেষিত করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ককে নিছক বন্ধুত্ব বলে অনেকেই মেনে নিতে ইচ্ছুক নন। কারণ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ঘর ছাড়তে দেখা গেছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। শুধু কি তিনি ঘর ছেড়েছেন? পরিবার ছেড়েছেন? পদ ছেড়েছেন? এমনকি দল পর্যন্ত ছেড়েছেন? এদিকে নারদ কান্ডে শোভন চট্টোপাধ্যায় সহ চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে জেল হেফাজতের। প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাবার পর গত সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে।

এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার পর রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে ওষুধ দেয়া হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর হৃদযন্ত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে, যার চিকিৎসা চলছে। তাঁকে ইকো কার্ডিওগ্রাম করানো হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে। তাঁকে নেবুলাইজারও দেয়া হয়েছিল বলে, জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর পুত্র ঋষি চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু স্ত্রী, পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে নারাজ শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনকি তাঁর চিকিৎসার খবরা-খবরও স্ত্রী-সন্তানকে দিতে নারাজ তিনি। এ বিষয়ে আইনজীবীর দ্বারা এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় খবর কেবলমাত্র তাঁর আইনজীবী ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে। হাসপাতালকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় মদন মিত্রকে দেখতে আসার নাম করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেবিনের ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন দুই ব্যক্তি। যাদের
একাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে এক ব্যক্তির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই দুই ব্যক্তি হলেন সঞ্জয় রাউত ও অভিজিৎ মৈত্র। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে আরও বেশ কিছু দুষ্কৃতী সেদিন হাসপাতাল চত্বরে এসেছিল। পুলিশের সঙ্গে এক ব্যক্তির বচসা বাঁধে। এরপর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের উদ্যোগে হাসপাতাল থেকে বাইরে বের করে দেয়া হয় তাদেরকে। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।

শোভন চট্টোপাধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, তিনি অনুমতি না দিলে তাঁর স্ত্রী পুত্র-কন্যা কাউকেই যেন তাঁর কাছে আসার অনুমতি দেওয়া না হয়। তাঁর আইনজীবী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, তাঁরা কাছে এলে শোভন বাবুর টেনসন আরো বেড়ে যেতে পারে। তিনি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

এই পরিপ্রেক্ষিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তাঁদের মধ্যে মামলা চলছে, কিন্তু এখনও তাঁদের ডিভোর্স হয়নি। এখনও তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তাই তাঁরা পরিবারের লোক হয়েও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেবিনে যদি যেতে না পারেন, তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে তাঁর প্রবেশ বন্ধ করার দাবি জানাবেন তিনি।

এভাবে শোভন-বৈশাখী-রত্নার ত্রিশঙ্কু সম্পর্কে আবার নাটকীয়তা শুরু হল। তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার পরই সিবিআই দপ্তরে গিয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেদিন রাতে প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরেও ছিলেন তিনি। এরপর তিনি একাধিকবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের খোঁজখবর নিয়েছেন। যাবে গত সোমবার রাতে প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁদের ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়ে আবার নতুন জটিলতা, নতুন নাটকীয়তা শুরু হয়েছে। যা নারদ কাণ্ডের নাটকীয়তাকেও হয়তো ছাপিয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!