এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে জেলযাত্রা নিশ্চিত হতেই কোভিড দেখিয়ে ডুকরে কান্না ফিরহাদের?

নারদ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে জেলযাত্রা নিশ্চিত হতেই কোভিড দেখিয়ে ডুকরে কান্না ফিরহাদের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুতেই হলো না শেষরক্ষা, শেষ পর্যন্ত যেতে হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। গতকাল নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার হবার পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জামিনের মঞ্জুরি দিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। কিন্তু গতকাল রাতে নিম্ন আদালতের এই সিদ্ধান্তের ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। আগামীকাল পর্যন্ত হেভিওয়েটদের প্রেসিডেন্সি জেলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। জেলযাত্রা নিশ্চিত জেনে জেলে যাওয়ার সময় কেঁদে ফেললেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আক্ষেপ করে তিনি জানান, করোনা সংক্রমণকালে কলকাতার মানুষকে তিনি বাঁচাতে পারলেন না।

নারদ কাণ্ডে তাঁর জেলযাত্রা নিশ্চিত হতেই গতকাল রাতে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে। আক্ষেপ করে তিনি জানান, কলকাতার মানুষকে তিনি বাঁচাতে পারলেন না। বিজেপি টাকা দিয়ে সকলকে কিনে নিতে পারে। কিন্তু বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রয়েছে তাঁদের। এরপর হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে ইডিকে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তাঁর দোষ কোথায়? সিবিআই তাঁকে যতবার তলব করেছে, ততবারই হাজিরা দিয়েছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তিনি কি সিবিআইকে সহযোগিতা করেন নি? আধিকারিকদের সঙ্গে কি তিনি ভালো ব্যবহার করেননি? কেন তাঁকে জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফিরহাদ হাকিম আরও জানালেন, তিনি জনপ্রিয়, কিন্তু এটা তো তাঁর দোষ নয়। মানুষ তাঁকে ভালবাসেন বলেই তো তাঁর জন্য বহু মানুষ এসেছেন। তবে বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে। তিনি ন্যায়বিচার পাবেন ও মুক্তি পাবেন বলে আশাবাদী। তিনি জানান, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান রূপে নিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে, যাতে করোনা মহামারীর সময় টিকাকরণ, করোনার পরীক্ষা, স্যানিটাইজেশন, শেষকৃত্যের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সঠিক ভাবে চলতে পারে। তিনি আক্ষেপ করেন, কলকাতার মানুষকে আর বাঁচাতে পারলেন না তিনি।

জানা গেছে গতকাল রাতেই তিনি প্রায় কিছুই খাননি। আজ সকালে তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন তাঁর কন্যা সাবা হাকিম। সে সময় তাঁর আইনজীবীও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। জানা যায়, আজ সকালে তাঁর জ্বর এসেছিল। তাঁকে জেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছিল। তবে, এখন তিনি সুস্থ আছেন। জেলের ভাত খেয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে অতীন ঘোষ সুপারের দ্বারা তাঁকে প্রয়োজনীয় সমস্ত রিপোর্ট দিয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিমের কন্যা সাবা হাকিম জানিয়েছেন, তাঁর বাবার কষ্ট হচ্ছে কারণ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে পারছেন না। তাঁর বাবার শরীর ঠিক আছে। তবে, মনের দিক থেকে তিনি কিছুটা ভেঙে পড়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!