এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদ কান্ডের হলফনামা গ্রহণ নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

নারদ কান্ডের হলফনামা গ্রহণ নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ৯ ই জুন হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা জমা দিতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু হাইকোর্ট হলফনামা জমা নিতে সম্মত হয় নি। এরপর গত ২৫ সে জুন এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টকে হলফনামা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশের পর এই মামলার শুনানিতে এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মামলার হলফনামার বিষয়ে আদালত বিবেচনা করবে। আগামীকাল এ বিষয়ে রায় দেবার সম্ভাবনা আছে হাইকোর্টের।

আজ হাইকোর্টে নারদ মামলার হলফনামা পেশ করার আবেদনের শুনানি চলছে। যে শুনানিতে রাজ্যের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেছেন এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, হলফনামার অগ্রিম কপি সিবিআইকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সিবিআই এর বিরোধিতা করেছে। এ কথা শোনার পর হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির রাজেশ বিন্দাল প্রশ্ন করেছেন যে, রাজ্য কেন তবে হলফনামা জমা করেনি? এর কারন কি?

কারন রাজ্য প্রথম থেকেই ছিল। তার জবাবে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানালেন যে, গত ২ রা জুন সিবিআইয়ের সওয়াল শেষ হয়ে গিয়েছে। তৎপর ৭ ই জুন আদালতকে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। এই সত্য সামনে আসা দরকার। এর জন্য হলফনামা জমা নেওয়া প্রয়োজন। রাজ্য হিসেবে তাদের দায়িত্ব হলো আদালতকে বিষয়টি জানানো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর, এ বিষয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানান, ১৭ ই মে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হলফনামা জমা দেয়া হয়নি। তাঁর এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, রাজ্য যদি সঙ্গে সঙ্গে এর হলফনামা জমা দিত, তবে তা স্বতস্ফূর্ত হতে পারত। রাজ্য বিলম্ব করার কারণে এটিকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে। হলফনামাকে রেকর্ড হিসেবে আইনগত পর্যালোচনা করা হবে কিনা? সে বিষয়ে নিয়ে দেখা হবে পরে।

তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই আবেদনের শুনানি যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা প্রয়োজন। আবার, এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন যে, গত ২৭ সে মে থেকে রাজ্য মামলায় যুক্ত, আইন মোতাবেক ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়ার কথা। তাই ৭ ই জুন আবেদন করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যায় নি। এর জবাবে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানালেন যে, ৪ সপ্তাহে যদি শুনানি শেষ হয়, তারপরও কি হলফনামা গ্রহণ করতে হবে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!