এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদ মামলায় হাইকোর্টে আজকের শুনানীতে মেলেনি সুরাহা, আগামীকাল আবার শুনানী

নারদ মামলায় হাইকোর্টে আজকের শুনানীতে মেলেনি সুরাহা, আগামীকাল আবার শুনানী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদ মামলায় অভিযুক্ত চার নেতা জামিন পেয়ে গেলেও মামলা কিন্তু থেমে নেই। হাইকোর্টে কিন্তু নিয়ম করেই নারদ মামলার শুনানি চলছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নারদ মামলায় বিনা নোটিশে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়।

এই চার নেতা প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। কিন্তু মামলার শুনানি এখনো চলছে। সিবিআই এর তরফ থেকে আবেদন রাখা হয়েছে, নারদ মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করার জন্য। এক্ষেত্রে সিবিআই প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের বৃহত্তর বেঞ্চে আজকে নারদ মামলার শুনানি শুরু হয়।

আজকে জামিনের আবেদন খারিজ এবং মামলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করা নিয়ে সওয়াল করেন প্রথমে সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সিবিআই এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বাংলায় তাঁদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তাঁদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আর সেই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই।

শুরুতেই আজকে চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী কতটা প্রভাবশালী সেই সংক্রান্ত একের পর এক অভিমত দিয়ে যায় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। এরপর মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পর আবার মামলার শুনানি শুরু হয়। এক ঘন্টা মামলার শুনানির পর আজকের মত নারদ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল আবারও এই শুনানি চলবে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, আজকের শুনানির শেষের দিকে সলিসিটর তুষার মেহেতা বেশকিছু আর্জি রেখেছেন হাইকোর্টের কাছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, যেভাবে রাজ্যের মন্ত্রীরা অবস্থান বা চাপের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, মাননীয় বিচারক সেই চাপ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে মানুষের মনে। পাশাপাশি বিচারপতিদের রায় পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে থাকলেও মানুষের মনে কিন্তু প্রশ্ন আসবে।

আর এরপরই বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের তরফ থেকে তুষার মেহেতাকে পাল্টা বলা হয়, হাইকোর্টের বিচারকের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যদি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানো হয়, তা কোন মতেই বেআইনি নয়। পাশাপাশি যেকোনো মানুষ বিচারালয়ে এসে মামলা শোনার জন্য বসে থাকতে পারে এজলাসে ,সেটাও বেআইনি নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে বিচারক কোন দিক থেকে প্রভাবিত হচ্ছে? পাশাপাশি বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, যেদিন ভার্চুয়াল রুদ্ধদ্বার মামলার শুনানি হয়েছে, আইনমন্ত্রী এবং বাকিরা আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করলেও কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ ভার্চুয়ালি চার্জশিট জমা পড়েছে, সেক্ষেত্রে বিচারপতি কিভাবে প্রভাবিত ,লে শেখার যৌক্তিকতা পাওয়া যাচ্ছেনা।

আর এরই জবাবে সলিসিটর তুষার মেহতা আলতা বলেন পাবলিক ইন লার্জের কথা তিনি বলেছেন। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এর পর তুষার মেহতাকে পাল্টা বলেন, যদি বিচারপতিদের পক্ষ থেকে অনিয়ম হয় তাহলে সেদিন সিবিআই এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি কেন? মামলা মুলতবি করার জন্য বিচারপতিকে বলা হয়নি কেন?

সেক্ষেত্রে তুষার মেহতা বলেন, হাজার হাজার মানুষ যখন বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করছে সিবিআই এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসেছেন, সেসময় আধিকারিকরা অন্য কোন রাস্তার কথা ভাবতে পারেননি। পাশাপাশি তুষার মেহতা দাবি করেন, বাংলায় পরিকল্পিতভাবে গুন্ডামি চলছে।

এর আগেও 2018 এবং 2021 সালে যখন রাজ্যের ক্ষমতাসীন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখনও মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিলেন। এরপর হাইকোর্টের তরফ থেকে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার পরবর্তী শুনানির কথা ঘোষণা করা হয়। আপাতত নারদ মামলায় অভিযুক্তদের আইনজীবীরাও কিন্তু তাঁদের যুক্তি সাজাচ্ছেন।

কিভাবে তাঁরা ময়দানে সিবিআইকে চাপে রাখবেন, তা জানতে আগামী দিনের নারদ মামলার শুনানির ওপর নজর রাখতে হবে। নারদ মামলা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তদন্ত চালিয়েছে সিবিআই। চার্জশিট জমা দেওয়া হয়ে গেছে, আর সেখানেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা, চার্জশিট জমা দেওয়ার পর কিভাবে গ্রেপ্তার করা যায় বিনা নোটিশে?

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ঘটনাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে দাবি করেছেন। বরাবরই বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সিগুলোকে নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। সবমিলিয়ে মামলা নিয়ে এখনো চাপানউতোর তুঙ্গে। আপাতত লক্ষ্য, নারদ মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হয় কিনা সেদিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!