এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানিতে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের আইন মন্ত্রি মলয় ঘটক ও রাজ্যের হলফনামা জমা নিতে সম্মত হলো হাইকোর্ট। তাঁদের উভয়কেই ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবার সিবিআইকে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য ১০ দিন সময় দেয়া হলো আদালতের পক্ষ থেকে। গত ৯ ই জুন নাগাদ মামলার শুনানি শুরু হলে, আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। তবে হাইকোর্ট এই আবেদন পরবর্তীতে খারিজ করে দেয়। হাইকোর্ট এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুনানির মধ্যে হলফনামা জমা নিলে মামলার মুখ ঘুরে যাবার সম্ভাবনা আছে।

এরপর, হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে হলফনামা জমা নেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এরপর হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো রাজ্যকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ১৫ ই জুলাই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল হাইকোর্টে শুনানি শুরু হলে সিবিআই এর পক্ষ থেকে তুষার মেহেতা জানিয়েছিলেন যে, ১৭ ই মে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁরা হলফনামা জমা দেননি। এরপর বিচারপতি সৌমেন সেন প্রশ্ন করেছিলেন যে, রাজ্য যদি হলফনামা পেশ করে তথ্য জানাতে চায়, তাহলে সিবিআইয়ের আপত্তি কোথায়? তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, শুধুমাত্র সিবিআইয়ের অভিযোগে লোক জমায়েত তত্ত্বকে আদালত মেনে নিতে পারে না।

আজ এই মামলার শুনানি শুরু হলে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, আইনশৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্যের বিষয়, তাই এই বিষয়ে রাজ্যের কি বক্তব্য আছে? তা আদালতকে জানানো প্রয়োজন। নিরাপত্তার বিষয়টিও রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে। নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের সাহায্য রাজ্য করেছে, এই অভিযোগের বিরোধিতা করা হয়েছে। এই সমস্ত কিছুর প্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দেওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ।

এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানান, এই মামলার শুনানি যত দ্রুত সম্ভব,শেষ করা প্রয়োজন। আদালত হলফনামার ব্যাপারে আপত্তি জানালে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর সেখান থেকে হাইকোর্টে মামলা ফিরে এসেছে। এ বিষয়ে শুনানি বেশিদিন চলতে পারেনা। তাহলে মানুষের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে ভুল বার্তা পৌঁছে যাবে। আবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী পর্যাপ্ত সময় পাওয়া সত্ত্বেও হলফনামা জমা দেননি। এরপর রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, শুধুমাত্র দেরী হবার কারণে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিতে অস্বীকার করতে পারেনা আদালত। সিবিআই এর বিরোধিতা করতে পারে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!