নারদ মামলায় নাটকীয় মোড়, অপরাধীদের বাগে আনতে সিবিআইয়ের নতুন পদক্ষেপ কলকাতা রাজ্য May 25, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদ মামলা একের পর এক নাটকীয় মোড় নেয় গত সোমবার থেকে। সিবিআই নারদ মামলায় গত 17 ই মে গ্রেফতার করে তিন তৃণমূল নেতা এবং এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের পর ওইদিনই নিম্ন আদালতে ধৃতরা জামিন পেয়ে গেলেও সেই জামিন রাতারাতি স্থগিত করা হয় সিবিআইয়ের আবেদনে। তারপর থেকেই চলছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জামিনের স্থগিতাদেশ মামলায় একমত না হতে পেরে 4 রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দীর নির্দেশ দেয় গত শুক্রবার। শেষ পর্যন্ত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। অন্যদিকে এদিন সিবিআই আদালতে হলফনামা জমা দেয়। কিন্তু রবিবার মাঝ রাতেই অনলাইন মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন করে সিবিআই। কিন্তু অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হয় সিবিআইকে। অন্যদিকে সিবিআই এর তরফের আইনজীবী বারবার বলছেন, প্রভাবশালী তত্ত্বের কথা। গত 17 ই মে দেখা গিয়েছিল সিবিআই দপ্তরে যখন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল 3 তৃণমূল নেতাকে এবং এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে, তারপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পৌঁছে যান সিবিআইয়ের অফিসে এবং সেখানে প্রায় 6 ঘণ্টা ধরে তিনি বসে থাকেন। পাশাপাশি নিজাম প্যালেসের বাইরে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখা যায়। এবং উল্লেখ্য, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রথমে মতানৈক্য ও পরে হাতাহাতি হয় বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতির তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআই হাইকোর্টে একটি আলাদা হলফনামা দাখিল করে। সূত্রের খবর, এই হলফনামায় কবে কোথায় কীভাবে সিবিআই তদন্তে বাধা পেয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। পাশাপাশি ওই হলফনামায় সারদা মামলায় মদন মিত্রকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় যে বাধা দেওয়া হয়েছিল সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি 2019 এর ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে যাওয়ার পর যেভাবে লোকাল থানার পুলিশ সিবিআই অফিসারদের হেনস্থা করেছিল সে কথাও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য নারদ মামলার রিট পিটিশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত মনে করা হচ্ছে, সিবিআই নতুন হলফনামায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে মূলত এ রাজ্যে তদন্তের পরিবেশ নেই সেই আঙ্গিকে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সর্বোপরি প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা। হাইকোর্টে নারদ মামলার আগামী শুনানি হতে চলেছে আগামী বুধবার। আপাতত দেখার, হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ নারদ মামলার শুনানিতে কার পক্ষ গ্রহণ করে? গৃহবন্দী 4 রাজনৈতিক নেতা কি এবার জামিন পাবেন, নাকি সিবিআই এর হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার? সব প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে আর এক দিন পর। আপনার মতামত জানান -