নারদ-কাণ্ডে এবার ইডির জেরার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দিলীপ-ঝুমা কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 23, 2019 সারদা রোজভ্যালি কাণ্ডের পাশাপাশি লোকসভা ভোটের মুখে নারদ কাণ্ড নিয়েও নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবার কোলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট দিলীপ সাহা এবং ঝুমা সাহা নামের দুজনকে তলন করলেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের নামে এতো ভুরি ভুরি সম্পত্তি কেনা নেপথ্যে আসল কারণ খতিয়ে দেখতেই এই দুজনকে জেরা শুরু করল ইডি। এর আগে নারদ কাণ্ডে একাধিক বার তলব করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। শোভন বাবুর স্ত্রীও রত্নাও বহুবার সিবিআইয়ের অফিসে শোভন বাবুর হয়ে হাজিরা দিয়েছেন। তদন্তকারী অফিসারদের সবরকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেন রত্না। তারপর নানন কারণে ইস্যুটি ধামাচাপা পড়ে যাওয়ায় ফের লোকসভা ভোটের আগে মামলাটির তদন্তে ময়দানে নামেন ইডি আধিকারিকরা। আর তদন্তকার্যে হাত দিয়েই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ঝুমা এবং দিলীপ সাহাকেই তলব করে ইডি। তাঁদের কাছে এতো টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে এল? কাদের টাকায় ওই প্রচুর টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছে? এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে এদিন দাঁড় করানো হয় ঝুমা-দিলীপকে। আসলে ওই টাকার সঙ্গে নারদ কেলেঙ্কারির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটাই ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে,সিআইডি আধিকারিকরাও এই একই ইস্যুতে সক্রিয় রয়েছেন। নারদ কাণ্ডে স্টিং অপরেশানের আসল ফুটেজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। আর সেজন্যেই আমেরিকার অক সংস্থাকে সম্প্রতি তাঁরা চিঠি পাঠিয়েছেন। তাছাড়া সম্প্রতি নারদ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত কুমারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। কেন তদন্তকার্যটাকে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। তারপরই প্রকাশ্যে আসে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাতে জানানো হয়,নারদকাণ্ডে ম্যাথু স্যামুয়েলের দেওয়া ফুটেজ আসল নয়। তা আসলে প্রকৃত ফুটেজের একটা কপি। তবে এই কপি করা ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়া কিছুতেই সম্ভব নয় বলেই চার্জশিট জমা দেওয়া যাচ্ছে না। এরপরই আসল ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়। আর এর আগে আমেরিকার সংস্থার কাছে নারদ কাণ্ডের আসল ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ দুজনকে নারদ কাণ্ডে তলব করার ঘটনাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের সূত্র ধরে নারদ কেলেঙ্কারির কোনো রহস্যভেদ হয় কিনা এখন সেটাই দেখার! আপনার মতামত জানান -