এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নারদা-সারদা, মুখ্যমন্ত্রী ও মুকুল রায় নিয়ে বিস্ফোরক শতাব্দী রায়

নারদা-সারদা, মুখ্যমন্ত্রী ও মুকুল রায় নিয়ে বিস্ফোরক শতাব্দী রায়


রাজ্যের বর্তমান সরকারের নামে একাধিকবার অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। একদিকে যেমন সারদা কেলেঙ্কারির জেরে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পদাতিক শ্রেণীর তৃণমূল নেতা পর্যন্ত জর্জরিত হয়ে পড়েছে গোটা দলটাই, অন্যদিকে তেমনই নারদাখ্যাত ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশনের জেরে একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী, সাংসদ থেকে শুরু করে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েছেন।

কিন্তু সবচেয়ে রহস্যের বিষয়, যে নারদা কান্ড জনগণের সম্মুখে নিয়ে এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, কালের পরিহাসে এখন সেই ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা বঙ্গ বিজেপির চাণক্য নামে খ্যাত মুকুল রায়কে সেই নারদা মামলাতেই ফাসতে দেখা যাচ্ছে। আর এখন এই বিষয়ে মুকুলবাবুকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না এককালে তারই ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা তৃণমূল নেতৃত্বরা‌। নারদাকাণ্ডে মুকুলবাবু প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের মন্তব্যকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

সম্প্রতি রামপুরহাটের নবীন ক্লাবের দুর্গাপুজোর প্রতিমা দর্শনে গিয়ে এই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “নারদাকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সত্যি-মিথ্যা উনি ভালো করেই জানেন।” আর শতাব্দীদেবীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে নারদা প্রসঙ্গ।

এদিনের দুর্গা প্রতিমা দর্শনে শতাব্দীদেবীর সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী মৃগাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার সহ অন্যান্যরা। বস্তুত, বীরভূম জেলার অত্যন্ত স্বনামধন্য ক্লাব রামপুরহাটের নবীন ক্লাব বেশ কয়েক বছর ধরেই শারদ উৎসবের সেরা সম্মান লাভ করে আসছে। এবারের মাতৃ আরাধনায় কন্যাভ্রূণ হত্যাকে থিম করে বাজিমাতের পরিকল্পনা করছে তারা।

আর এদিনের এই প্রতিমা পরিদর্শনে এসেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। মুকুল রায়ের সম্পর্কে মন্তব্য করার পাশাপাশি প্রতিমা দেখে নিজের মুগ্ধ হওয়ার কথা সাংবাদিকদের কাছে গোপন করেননি এই অভিনেত্রী সাংসদ। তিনি বলেন, “এবছর প্রথম প্রতিমা দর্শন করলাম। আজই কলকাতা ফিরে যাব। সোমবার থেকে আমার পুজো দেখা শুরু হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করে শতাব্দীদেবী বলেন, বৃষ্টি যেন না হয়। সকলে যেন ভালো করে পুজো দেখতে পারেন। পাশাপাশি নিজের লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষকে শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। তবে শতাব্দী রায়ের মুকুল রায়কে নিয়ে এই অভিযোগ মুকুলবাবুর উপরে কোনো রকম প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।

স্বভাবসিদ্ধভাবে মুকুলবাবু নিজের ওপরে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে চিরকালই “ডোন্ট কেয়ার” মনোভাব রেখেছেন। নারদাকান্ডে নিজের নাম জড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গেও নিজের সেই অ্যাটিটিউডকে ধরে রেখেছেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য। শতাব্দিদেবী দূর্গা পূজার প্রতিমা দর্শন করতে এসে মুকুলবাবু প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, বাঁচার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছেন মুকুল রায়। এটা তার নিজস্ব যুক্তি। আমি সেই জায়গায় নেই। ফলে কে নিয়েছে, কেন নিয়েছে আমি জানি না। আমি সারদার টাকা ফেরত দিয়ে শান্তি কিনেছি। তবে শতাব্দী রায় যে মূল্যেই শান্তি কিনুন না কেন, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সারদা থেকে নারদা কোনো কান্ডেই শান্তি পেতে দেওয়ার মানসিকতায় নেই বঙ্গ বিজেপির চাণক্য।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা নারদা প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তের সময় মুকুলবাবু স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, আর নারদাকান্ডে তিনি টাকা নিয়েছেন এটা যদি সিবিআই দেখাতে পারে, তাহলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া যে কোনো শাস্তি তিনি মাথা পেতে নেবেন।

পাশাপাশি মির্জা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন এককালে তারই প্রধান সহকারি হিসেবে পরিচিত মুকুল রায়। তিনি বলেন, “মির্জাকে দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!