এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নরেন্দ্র মোদী বিরোধী বৃহত্তর মঞ্চে তৃণমূলকে না এই হেভিওয়েটের, বড় ধাক্কা লোকসভার আগে?

নরেন্দ্র মোদী বিরোধী বৃহত্তর মঞ্চে তৃণমূলকে না এই হেভিওয়েটের, বড় ধাক্কা লোকসভার আগে?


দুদিন আগেই যিনি কেন্দ্র বিরোধীতায় সরব হয়েছিলেন,আজ তাঁর গলাতেই অন্য সুর! কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাই প্রহ্লাদ মোদীর। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে সংস্থার সহ সভাপতি প্রহ্লাদ মোদী কেন্দ্রীয় সরকারের রেশন নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এরপরই তাকে নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিকমহলে যে বিজেপি-প্রধানমন্ত্রীর ভাইই বিজেপি সরকারের বিরোধিতা করছে।

এই সুযোগ নিয়ে কট্টর বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিকদল তৃণমূল তাকে সামনে রেখে কেন্দ্র বিরোধীতার ঝড় তুলে দিয়েছিল। প্রহ্লাদ মোদীই হবেন মোদী-বিরোধীতার প্রচারের অন্যতম প্রধান মুখ,এমনটা ভেবেই প্ল্যান করতে শুরু করেছিল তৃণমূল। কিন্তু এদিন সে পরিকল্পনার মূলে জল ঢেলে দিলেন খোদ প্রহ্লাদ মোদীই। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন,মোদী বিরোধীতার কোনো প্রশ্নই নেই। প্রধানমন্ত্রীর বিরোধীতা করার কথা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন না। একথা বলেই মোদীর প্রশংসার পুল বেঁধে দিলেন তিনি। মোদীকে একজন ‘সৎ মানুষ’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

তাঁর এই দ্বিচারী আচরণে হতবাক বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বরা। তাঁদের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দফায় দফায় এরকম কী করে সম্ভব হল? দুদিন আগেই যে মানুষটি চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রের রেশন ব্যবস্থার সমালোচনায় সরব হয়েছেন সে কীভাবে পাল্টি খেল? কোনোরকম ভনিতা না করেই সাফ কথায় প্রহ্লাদ মোদী জবাবে জানালেন,”কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে পারি, তাদের রেশন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হতে পারি, তা বলে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রচার করব না।”

অর্থাৎ তাঁর যুক্তি রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ধর্না,বিক্ষোভ করার অর্থ এই নয় যে তিনি মোদীর বিরোধীতা করছেন বা তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নামছেন। উল্লেখ্য,এর আগেও তিনি রাফাল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকেছেন। রামমন্দির নির্মান নিয়ে নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশ করেছেন।

তবে,অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন কিন্তু আবার কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীতায় তৃণমূলের সঙ্গ দেবে এমনটা জানিয়ে দিয়েছিল। তাঁদের এই ঘোষণার পরই কিন্তু তড়িঘড়ি করে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছক কষতে শুরু করে। বিজেপিকে কীভাবে কোনঠাসা করা যায় তার জন্য জাতীয় আলোচনা সভার আয়োজন করে পরামর্শও দিয়েছেন সংস্থাটিকে।

শুধু তাই নয়,মোদীর ভাইকে অস্ত্র বানিয়ে কীভাবে বিজেপি সরকারের বিরোধীতায় কাজে লাগানো যেতে পারে তার মাষ্টারপ্ল্যানও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে ফেডারেশনের সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু ঘোষণাও করেছিলেন,কেন্দ্র থেকে বিজেপি হটানোর প্রচারে নামবেন তাঁরা। লোকসভা ভোটে তৃণমূলকেই সমর্থন করার পরিকল্পনা তাঁদের। কারণ খাদ্যসাথী প্রকল্প চালু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রেশন ব্যবস্থায় উন্নয়ন এনেছে। এর জন্য কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু তার আগেই সংস্থার সহ সভাপতি প্রহ্লাদ মোদী প্রধানমন্ত্রীর গুনগান করে বাঁধ সাধলেন। এদিনে করা তাঁর বক্তব্যের পর থেকে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। আসলে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন রাজ্য সরকারকে সমর্থন করছে না কেন্দ্রের পাশে রয়েছে? এই প্রশ্নকে ঘিরেই তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!