এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অধীর চৌধুরীর পিঠ চাপড়ে ভূয়সী প্রশংসা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর, বাড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা

অধীর চৌধুরীর পিঠ চাপড়ে ভূয়সী প্রশংসা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর, বাড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা

বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই বারেবারে জল্পনা উঠেছে যে বঙ্গ-কংগ্রেসের হেভিওয়েট লিডার তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু বারেবারেই, সেই সম্ভাবনাকে বঙ্গোপসাগরের জলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অধীর চৌধুরী স্বয়ং জানিয়েছেন – তিনি কংগ্রেসে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। একবার তো, তাঁর বিজেপিতে যোগদানের দিন-তারিখ প্রকাশ করে দিয়ে তাঁর আইনজীবীর পাঠানো আইনি নোটিশ খেতে হয়েছিল কলকাতার এক জনপ্রিয় নিউজ পোর্টালকে।

তবুও, কিন্তু অধীর চৌধুরীর বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা একফোঁটাও কমে নি! বরং দিনদিন তা বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য এর পিছনে কারণও আছে যথেষ্ট। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা হোন বা বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ – সকলেই অধীরবাবুকে বিজেপিতে যোগদানের খোলা আহ্বান জানিয়েছেন। ডাক দিয়েছেন একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামী বলে পরিচিত অধুনা বিজেপি নেতা হুমায়ুন কবীরও। এমনকি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মুর্শিদাবাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শুভেন্দু অধিকারীও বারেবারেই প্রকাশ্যে জানিয়েছেন অধীরবাবুর বিজেপিতে যোগদান নাকি সময়ের অপেক্ষা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই জল্পনা এতটাই তীব্র হয় যে – অধীরবাবুকে এই নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে সরাসরি প্রশ্ন করেন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। যদিও তাঁকে আশ্বস্ত করে অধীরবাবু কংগ্রেসেই থেকে যান এবং বহরমপুর থেকে জিতে পুনরায় সাংসদ হন। কিন্তু, সেই সংসদে গিয়েই আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করল অধীরবাবুর দলবদলের জল্পনা। আজ, সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সর্বদল বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে কংগ্রেসের সাংসদদের তরফে সোনিয়া গান্ধী বাংলার অধীর চৌধুরী এবং কেরলের কে সুরেশকে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠান।

আর সেই বৈঠকের একদম শেষের দিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন-চারবার অধীরবাবুর পিঠ চাপড়ে দিয়ে সবার সামনেই বলে ওঠেন, এই হলেন আসল যোদ্ধা! আর এরপরেই রাজধানীর অলিন্দে তব্রতর হয়েছে জল্পনা। কেননা, অধীরবাবু যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন, তেমনই তিনি নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপি নিয়েও সমানভাবে সরব। এমনকি লোকসভা নির্বাচনেও তিনি বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েই দিল্লি গেছেন। তাহলে, কি এমন হয়ে গেল, যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী অধীরবাবুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ? যদিও এই নিয়ে অধীরবাবুর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি, আর গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় রাজনীতিকে সম্মান জানিয়েছেন। কিন্তু, তবুও এই ঘটনার পর নতুন করে জল্পনার ডালপালা বিকশিত হতে শুরু করল রাজধানীর রাজনীতির অন্দরমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!