এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ২৭ বছর আগেই নরেন্দ্র মোদী প্রমান দিয়েছিলেন – আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে তিনি নিজে কত বড় ‘আতঙ্ক’ হতে পারেন!

২৭ বছর আগেই নরেন্দ্র মোদী প্রমান দিয়েছিলেন – আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে তিনি নিজে কত বড় ‘আতঙ্ক’ হতে পারেন!


১৪ ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ – হন। আর তারপর থেকেই সারা দেশে ক্রোধে ফুটছিল – আপামর ভারতবাসীর একটাই আবেদন, ভারত মায়ের এই বীর সন্তানদের বলিদান ব্যর্থ হতে দেবেন না প্রধানমন্ত্রী – এর যোগ্য বদলা নিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন – ভারতবাসীদের বুকে যে আগুন জ্বলছে, সেই একই আগুন তাঁর বুকেও জ্বলছে। আর তাই তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পূর্ন স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন – এই ঘটনার যথাযথ প্রতিশোধ নিতে।

অবশেষে, সেই নৃশংস জঙ্গি হামলার ১২ দিন পরে ভারতীয় বায়ুসেনার হাত ধরে চূড়ান্ত বদলা নিল ভারত। পাকিস্তানের সীমানা পেরিয়ে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে ভোর ৩:৩০ টে নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনার ১২ টি মিরাজ বিমান ১,০০০ কিলো ভারী বোমায় মুজাফরাবাদ, বালাকোট, চাকোটার জঙ্গি লঞ্চ প্যাড সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। এর আগে, পাকিস্তানের জল বন্ধ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সব্জি বাজারে অগ্নিমূল্য করে দেওয়ার মাস্টারস্ট্রোক দিয়েই রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তার সাথেই তাঁর সফল বিদেশনীতির হাত ধরে পাকিস্তানকে ‘উচিৎ শিক্ষা’ দেওয়ার সময় বহির্বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন নিজের পাশেই রেখেছিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে নরেন্দ্র মোদির এই মারাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার সাহসিকতা জানতে হলে – পিছিয়ে যেতে হবে ২৭ টা বছর। আতঙ্কবাদীদের ভয় পাওয়া তো দূরের কথা, বরং আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে তিনি কত কড়া ও দৃঢ়চেতা তা জানতে হলে ১৯৯২ সালের নরেন্দ্র মোদির এই অমর অধ্যায় আপনাকে জানতেই হবে। ১৯৯২ সালে আতঙ্কবাদীরা হুঙ্কার দিয়েছিল কাশ্মীরের লালচকে যদি কেউ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টাও করে, তাহলে সে নাকি আর বেঁচে ফিরবে না। আতঙ্কবাদীদের এই হুমকি দেশের প্রজাতন্ত্রের কাছে এক বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী নিয়েছিলেন সেই চ্যালেঞ্জটা – তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর দলেরই আরেক প্রবীণ সদস্য মুরলী মনোহর যোশী।

আতঙ্কবাদীদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী – বলেছিলেন ২৬ শে জানুয়ারী লালচকে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেখবেন তিনি, আতঙ্কবাদীরা পারলে আটকে দেখাক। আর সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে কন্যাকুমারী থেকে নরেন্দ্র মোদী ও মুরলী মনোহর যোশী শুরু করেন একতা যাত্রা। সেই একতা যাত্রাকে স্তব্ধ করতে আতঙ্কবাদীরা কাশ্মীর পুলিশের হেড কোয়ার্টারে গ্রেনেড হামলা করে, আহত হন তৎকালীন পুলিশের সর্বোচ্চ আধিকারিক জে এন সাক্সেনা। কিন্তু গতি থামাননি নরেন্দ্র মোদী। ২৬ শে জানুয়ারি ভোরে জম্মু পৌঁছে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তিনি আর মুরলী মনোহর যোশী শ্রীনগর পৌঁছান।

এরপর গাড়িতে লালচকে গিয়ে শুধু ভারতের পতাকা উত্তোলনই করেননি, সেখানে দাঁড়িয়েই জাতীয় সঙ্গীতও গান। এই অনুষ্ঠানের সময় আতঙ্কবাদীরা আশেপাশে পাঁচটি বোমা ফাটালেও একটুও পা কাঁপে নি নরেন্দ্র মোদির – সফলভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ও জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, তিনি পুনরায় গাড়িতে ফায়ার যান দৃপ্ত পায়ে। ১৯৯২ সালে নরেন্দ্র মোদী না ছিলেন কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী না দেশের প্রধানমন্ত্রী – তিনি ছিলেন সামান্য রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু, সেদিনই তিনি প্রমান করেছিলেন – আতঙ্কবাদীদের সামনে কতটা দৃঢ়চেতা। আর তাই, হাত ধরেই যে পাকিস্তানে ঢুকে পাকিস্তানকে মারা হবে এবং পাকিস্তান শুধু বসে বসে মার খাবে – এটাই তো স্বাভাবিক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!