এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদ কান্ডে নাম জড়ানো বাকিরা কি ভাবছেন? উঠে এলো হেভিওয়েটদের আশা-আশঙ্কার তথ্য

নারদ কান্ডে নাম জড়ানো বাকিরা কি ভাবছেন? উঠে এলো হেভিওয়েটদের আশা-আশঙ্কার তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নারদ কান্ড নিয়ে রীতিমত সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই সদ্য মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার পর সেই নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এই ঘটনার পর থেকেই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজ দেখা যাওয়া অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই অভিযোগ করা হচ্ছে, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার লক্ষণ।

বিজেপি নিজেদের দলে যাওয়া মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড় দিয়ে তৃণমূলকে বেছে-বেছে চাপে ফেলতে চাইছে। তাই তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অবশ্য সেই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আইন আইনের পথে চলবে।

আর এই পরিস্থিতিতে নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়া আরও বেশকিছু তৃণমূল নেতা এবং সাংসদের কপালে শনি নাচতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুত সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদ এবং নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর যদি সেই আশঙ্কা সত্যি হয়, তাহলে কি করবেন তৃণমূলের নারদা কান্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা দেওয়া অন্যান্য নেতা এবং সাংসদরা! এখন তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরুপা পোদ্দার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর এই সমস্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে সিবিআই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় বা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে বিন্দুমাত্র সময় না দিয়ে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে।

সেক্ষেত্রে আশঙ্কার কালো মেঘ যখন ঘনীভূত হতে শুরু করেছে, তখন আলোচনায় থাকা নারদ কান্ডের ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়া তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদরা কি আগেভাগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন! নাকি অপেক্ষা করবেন সিবিআইয়ের পদক্ষেপের জন্য? এখন তা নিয়ে আলোচনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল সাংসদ বলেন, “বাকিরা আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। তারা আবেদনে বলতেই পারেন যে, সিবিআই যতবার ডেকেছে, ততবার গিয়েছি। আর তাদের তদন্তে সহযোগিতা করেছি। আমরা বাইরে থেকে কোনো সাক্ষীকে প্রভাবিত করব না, সেই শর্তে আমাদের আগাম জামিন দেওয়া হোক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে দলের এক সাংসদ এই বক্তব্য দিলেও, অন্যকথা শোনা গেছে ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়া তৃণমূলের প্রবীন সাংসদ সৌগত রায়কে। এদিন তিনি বলেন, ” আমি আগাম জামিনের আবেদন করব না। এতে ভয় পাওয়ার কি আছে! আমরা রাজনীতি করি। দুদিন জেলে গেলে কি হবে! আমি কোনোমতেই আগাম জামিন নেব না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি কোনোভাবেই জেলযাত্রাকে ভয় পান না। অর্থাৎ দীর্ঘদিন রাজনীতি করা সৌগতবাবু সিবিআইয়ের পদক্ষেপের জেরে ভয়ে আগাম জামিন নেওয়ার রাস্তায় কোনোমতেই হাঁটতে নারাজ বলে পরিষ্কার হয়ে গেল। তবে অন্যান্য সাংসদরা কি করবেন, এক্ষেত্রে কি ভূমিকা হবে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরুপা পোদ্দার, প্রসন বন্দোপাধ্যায়দের?

তারা কি সৌগত রায়ের রাস্তাতেই হাঁটবেন! নাকি আগাম জামিন নিয়ে রক্ষাকবচ গ্রহণ করবে? একাংশ বলছেন, এই পরিস্থিতিতে যদি একের পর এক সাংসদদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে সিবিআই, তাহলে তৃণমূলের কাছে তা বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভের চেষ্টা করা তৃণমূল নেত্রী আরও সমস্যার মুখে পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

তাই সুকৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তা ঘাসফুল শিবিরের কাছে যথেষ্ট সমস্যার কারণ হবে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে আগেভাগে জামিন নেওয়া, নাকি গ্রেপ্তার হয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করার অভিযোগ তোলা? নারদকান্ডে আলোচনায় থাকা তৃণমূলের বাকি চার সাংসদ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!