এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নারদ-কান্ডে তৃণমূলের পাশেই প্রদেশ কংগ্রেস, কট্টর মমতা-বিরোধী অধীরের মন্তব্যে জল্পনা! চাপে বিজেপি!

নারদ-কান্ডে তৃণমূলের পাশেই প্রদেশ কংগ্রেস, কট্টর মমতা-বিরোধী অধীরের মন্তব্যে জল্পনা! চাপে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী কংগ্রেস নেতা হিসেবেই পরিচিত অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূল সরকারের বিরোধিতা করতে দেখা যেত তাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সেখানে তৃণমূল বিরোধিতায় সরব হতে দেখা যাচ্ছে না প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে।

সেদিক থেকে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রয়োজন, আর সেই কারণেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী এখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের প্রতি নরম মনোভাব প্রকাশ করছেন বলে দাবি একাংশের। বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরে চলা সারদা এবং নারদা নিয়ে বিভিন্ন সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে এই অধীর চৌধুরীকে।

এক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমঝোতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পক্ষ থেকে শোনা গেল অন্য অভিযোগ। যেখানে নারদা কাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনো অভিযোগ না করে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করার অভিযোগ তুলতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই অধীরবাবুর মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী নেতার মুখ থেকে এই ধরনের বক্তব্য সামনে আসায় এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

সূত্রের খবর, এদিন নারদা কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের পাশেই দাঁড়াতে দেখা যায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। হেভিওয়েট এই কংগ্রেস নেতা বলেন, “নারদ মামলায় কাউকে দোষী, আবার কাউকে মহাপুরুষ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এসবের পেছনে রয়েছে বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থ। আসলে এই দেশে কে সাধু, আর কে শয়তান, তা ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি দল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি কাঙ্খিত জয় না পেয়ে এখন তারা তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে। তাই নারদা কাণ্ড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একের পর এক তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আসলে বিজেপি মানুষের কাছে প্রমাণ করতে চাইছে, তারা সর্বশক্তিমান দল। অথচ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দল পরাজিত হলেও, আমরা এই ধরনের রাজনীতি পছন্দ করি না। আমরা রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল দলের সাথে লড়াই করে রাজ্যে আমাদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে চাই।”

এদিকে নারদা মামলা নিয়ে কেন এত সক্রিয়তা অবলম্বন করছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেখা গিয়েছে অধীর চৌধুরীকে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের বিস্ফোরক চক্রান্তের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। আর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী মুখ থেকে এই ধরনের বক্তব্য সামনে আসার পরেই রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, যে অধীর চৌধুরী এতদিন উঠতে-বসতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেন, সেই অধীর চৌধুরী এখন কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বিজেপি, এইরকম বিষয় বোঝাতে চাইলেন? তাহলে কি পরোক্ষে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী! পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৃণমূলের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার ক্ষেত্রে যে কোনো আপত্তি নেই, নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কি সেই কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি, এখন তা নিয়ে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চা জোটে অংশ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি কংগ্রেসের। বরঞ্চ তাদের আরও ক্ষতি হয়েছে। একটি আসনও তারা জয়লাভ করতে পারেনি। আর এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় রাজনীতির দিকে লক্ষ্য রেখে এখন এগিয়ে যেতে শুরু করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। এক্ষেত্রে বিজেপিকে সরানোর জন্য 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে সকল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এককাট্টা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিজেপি বিরোধী মহাজোটের প্রধান নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারেন। তাই জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলতে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা না করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কার্যত নারদা কান্ডের তৃণমূলের পাশেই থাকতে দেখা গেল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরোধী হিসেবে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। স্বাভাবিক ভাবেই তাহলে কি এখন থেকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান কিছুটা বদলাতে চলেছেন হেভিওয়েট এই কংগ্রেস সাংসদ?

সেভাবে তৃণমূলের বিরোধীতা করে কিছুটা নরম মনোভাব পোষণ করে বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রধান লড়াই, এটাই কি বোঝাতে চাইলেন তিনি? নারদা কাণ্ড নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর তৃণমূলের পাশে থাকা এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগের পর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!