এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদকান্ডের মাঝেই তৃণমূলের চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল! অস্বস্তি তুঙ্গে!

নারদকান্ডের মাঝেই তৃণমূলের চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল! অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানকে। বিশেষত আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে মাঝেমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি করেছেন জাগদীপ ধনকার। আর তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই আইনশৃঙ্খলা এবং ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর হিংসার ঘটনা নিয়ে আরও বেশি করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তাকে।

এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দ্বৈরথ আরও বেড়েছে, যখন তার অনুমোদনের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারদ কান্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং তৃণমূল বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রীকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে যখন লকডাউন চলছে, তখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।

দিকে দিকে আওয়াজ উঠেছিল, “রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। তাই তার অপসারণ করা হোক।” এমনকি “জাগদীপ ধনকার বাংলা ছাড়ো” বলেও স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন একাংশ। তবে নারদ কান্ডে যখন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ছে, ঠিক তখনই শাসকদল তথা রাজ্য প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের কাছে জবাব তলব করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউন চলার কারণে রাজ্যের সর্বত্র 144 ধারা জারি রয়েছে বলে খবর। সেদিক থেকে রাজভবন অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে এমনিতেই 144 ধারা জারি থাকে‌। তবে নারদকান্ডে তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর যেভাবে সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে জবাবদিহি তলব করলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে 144 ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন কলকাতা পুলিশের উপস্থিতিতে ভবনের সামনে অশান্তি তৈরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি‌। অর্থাৎ ফের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তথা পুলিশ মন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যপাল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই বিষয় নিয়ে নতুন করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছিল। যার পরে প্রশ্ন তুলে একাধিক জেলা সফর করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে এভাবে রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি রাজ্যপাল সরাসরি বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল শাসক শিবিরকে।

তবে তার মাঝেই এবার রাজ ভবন এর সামনে তৈরি হওয়া অশান্তি এবং বিক্ষোভ নিয়ে সরাসরি রাজ্য প্রশাসনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রাজ্যপাল অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে রাজভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই ধরনের বিক্ষোভ দুর্ভাগ্যজনক এ ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন কেন সেই বিক্ষোভ থামানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

যার ফলে রাজ্যপাল রাজ্য প্রশাসনকে যেমন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন, ঠিক তেমনই জবাব তলব করে তিনি যে বিন্দুমাত্র ছেড়ে কথা বলবেন না, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনের পক্ষ থেকে কি জবাব দেওয়া হয় এবং তাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের যুদ্ধ আরও কতটা তীব্র হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!