এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নারদে অভিযুক্তদের জেল নয়, তৃণমূলের বেশি মাথা ব্যাথা শুভেন্দু কেন গ্রেপ্তার নয় তা নিয়েই!

নারদে অভিযুক্তদের জেল নয়, তৃণমূলের বেশি মাথা ব্যাথা শুভেন্দু কেন গ্রেপ্তার নয় তা নিয়েই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বেশ কয়েক বছর আগে নারদ কান্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদরা প্রকাশ্যে টাকা নিচ্ছেন। সেই সময় বিজেপির পক্ষ থেকে এই ভিডিও দেখিয়ে সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি করা হয়। তারপর এই গোটা ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল আসার কিছুদিনের মাথায় সোমবার নারদ কান্ডে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

এদিকে শাসকদলের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ককে গ্রেপ্তার করার পরেই রীতিমত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের সকল স্তর থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, সেই সময় ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল বর্তমান বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সেইসময়কার তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীকেও। তাহলে আইন যদি সকলের জন্য সমান হয়, তবে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হবে না? কেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

নিজের দলের মন্ত্রীদের ছাড়ানো অপেক্ষা এখন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই যেন সব থেকে বেশি উঠে পড়ে লাগতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেনতেন প্রকারেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে বিজেপিকে এই ইস্যুতে কোণঠাসা করতে কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। ইতিমধ্যেই দলের একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ক গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ময়দানে নেমে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেফতার করা হবে না! সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। দেখাতে শুরু করেছে বিক্ষোভ। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে এখন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক গ্রেপ্তার হতেই ময়দানে নেমে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিক্ষোভ করতে দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “মন্ত্রী, বিধায়কদের সরাসরি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে যা নিয়ম রয়েছে, তার কিছুই মানা হয়নি। আইন সকলের জন্য এক হওয়া দরকার।” তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নয়, বামেদের পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, “যেভাবে বেছে বেছে তৃণমূলের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট, সিবিআই পুরোপুরি বিজেপি দ্বারা পরিচালিত।” অর্থাৎ দিনের শেষে একটা জিনিস স্পষ্ট, তৃণমূল নিজেদের অস্বস্তি ঢাকবার জন্য এখন বিজেপিকে পাল্টা অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে প্রধান লড়াই হলেও, সবথেকে বেশি লড়াই হয়েছে নন্দীগ্রামে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি এখন বিরোধীদের প্রধান মুখ। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকা এই শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপির প্রধান সেনাপতি হয়ে প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু শুধুমাত্র বিজেপির বিধায়ক এবং বিরোধী দলনেতা হওয়ার কারণেই কি তাকে ছাড় দেওয়া হল? ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ নিলেও, কেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হল না! এখন এই প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে চাপে ফেলতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূলের কাছে এখন প্রধান চাপের বিষয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে নারদ কান্ডে টাকা নিতে দেখা গেলেও, সেই সময় তৃণমূল নেতা হিসেবে খ্যাত আজকের বিজেপি নেতা শুধুমাত্র গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর কারণেই তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছে ঘাসফুল শিবির। আর এখানেই প্রশ্ন, তৃণমূল কেন নিজেদের রক্ষা করা অপেক্ষা বেশি পরিমাণে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপিকে চেপে ধরতে চাইছে?

একাংশ বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিমুহূর্তে দাবি করা হয়, বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে। এক্ষেত্রে বাংলার এই ঘটনাকে সামনে রেখে শুধুমাত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই যে শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড় দেওয়া হল, সেই বিষয়টি তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা ভারতীয় জনতা পার্টিকে চাপে ফেলে দেওয়ার অন্যতম কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতার না হওয়া এবং তৃণমূলের এই ব্যাপারে প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!