এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে ক্ষুব্ধ অমিত শাহ? বড় পদক্ষেপের আশঙ্কা!

নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে ক্ষুব্ধ অমিত শাহ? বড় পদক্ষেপের আশঙ্কা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এবারের নির্বাচনে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সকলেই কার্যত নিশ্চিত ছিলেন, বাংলা এবার তাদের দখলে আসছে। কিন্তু ভোটের ফলাফলের পর যে 200 আসন দখল করার কথা বলেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ উল্টো দিকে গিয়েছে। যেখানে দু’শোর বেশি আসন দখল করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে 77 টি আসন দখল করে বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে নির্বাচনের আগে সেলিব্রিটি মহল থেকে শুরু করে বিরোধী দলের অনেক নেতা-নেত্রী বিজেপিতে এসে ক্রমাগত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতে শুরু করেছিলেন। বর্তমানে বিজেপির যারা জয়লাভ করেছেন, তাদের অনেককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, যারা দলের জন্য কোনোকালেই কিছু করেনি, তারা দলে আসার সাথে সাথেই কেন তাদেরকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে?

অর্থাৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিজেপির একাংশ যে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে দলের নেতৃত্বের মধ্যে নিরাপত্তা প্রদান করা নিয়ে যেভাবে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে। তাই এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

বলা বাহুল্য, বিজেপির যে 77 জন বিধায়ক এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে প্রত্যেককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত 15 জন বিধায়ক তাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে যাওয়ার পরেও বেশ কিছু সেলিব্রিটি মুখ থেকে শুরু করে অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই তাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে আদৌ কোনো লাভ আছে কি না, তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই এখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কাদের কাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি, সেই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছেন। যার জেরে রাজ্য বিজেপির অনেক হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে।

তবে এই নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা চললেও, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া থেকে যদি কোনো হেভিওয়েটকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে তারা বেঁকে বসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে বুঝেশুনে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। এক দিকে তাদের যেমন শ্যাম রাখতে হবে, অন্যদিকে তাদেরকে কুল রাখতে হবে। কেননা তৃণমূল কংগ্রেস আবার তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর যারা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন, তারা আবার তৃণমূলের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতে শুরু করেছেন।

তাই পরাজিত হয়ে যাওয়া হেভিওয়েট মুখ থেকে শুরু করে নেতা- নেত্রীদের যদি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়, তাহলে তারা বিদ্রোহ পোষন করতে পারে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না। সেদিক থেকে কাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তুলে নেওয়া হবে এবং কাদের বহাল রাখা হবে, এখন সেটা নিয়েই কার্যত আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!