পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে বিশেষ পরিকল্পনায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন জাতীয় রাজ্য January 12, 2019 সারা বছর ধরে কোনো না কোনো ভোট আসতেই থাকে। আবার নির্দিষ্ট নিয়মে ভোট চলেও যায়। তবে সুষ্ঠুভাবে এই গনতান্ত্রিক নিয়ম রক্ষার কান্ডারী যারা তাঁদের ব্যস্ততার শেষ নেই কোনো। সামনেই দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভোট-লোকসভা নির্বাচন। তবে এখনো এই ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা না হলেও নির্বাচন কমিশনের তৎপরতাই বুঝিয়ে দিচ্ছে ভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই। নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রাথমিক প্রস্তুতির নির্দেশ মাস কয়েক আগেই দিয়ে দিয়েছিল। সেই মতো বিভিন্ন রাজ্যের জেলা এবং ব্লকস্তরে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করার বিশেষ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এরজন্যে নির্বাচন সদনে দুদিনের একটি সম্মেলন শুরু করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনর অাধিকারিকদের উদ্যোগে। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। রুদ্ধদ্বারে সম্পূর্ণ গোপনীয়তাকে বজায় রেখেই এই বৈঠক হয়েছে। মিডিয়ার প্রবেশাধিকার নিষেধ-এটা আগেই জানিয়ে রাখা ছিল। তার মধ্যেই যতোটা জানা সম্ভব হয়েছে,তাতে বোঝা গিয়েছে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কোন রাজ্যের বুথের সংখ্যা কত,সেসব জায়গায় সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে হল কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েত করা প্রয়োজন হবে,ভোটারদের মধ্যে কতজন প্রতিবন্ধী রয়েছেন,তাঁদের সম্পূর্ণ দায়িত্বসহকারে ভোট করানোর পাশাপাশি ভিভিপ্যাটযুক্ত ইভিএম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে,কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে,ভোট চলাকালীন ইভিএমের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর কথাই বলা হয়েছে। পাশাপাশি,ভোট ট ঘোষণা যখনই হোক, এখন থেকে রাজ্যে ভিভিপ্যাটযুক্ত ইভিএম কী তা ভোটারদের বোঝাতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। কারণ সম্প্রতি ইভিএম নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনে ব্যালট বক্স ফিরিয়ে আনার দাবী তুলেছিলেন তৃণমূল-কংগ্রেস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এ নিয়ে প্রথমে নির্বাচন কমিশন কোনঠাসা হলেও পরে অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়,ভোট ইভিএমেই হবে। উল্লেখ্য,ন’দফার লোকসভা ভোট কমিয়ে সাত দফা করা যায় কিনা তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অন্দরেই একটা ভাবনা চিন্তা চলছিল বলে আঁচ পাওয়া গিয়েছে। এদিন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে জল্পনাকে সত্যি করে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে সন্দেহ দূর করা প্রসঙ্গে বিস্তারে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও এক প্রস্থ আলোচনা বলে কানোঘুষো শোনা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -