এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতেই, নিজেদের পুরনো দাবিতে অনড় বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকেরা

নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতেই, নিজেদের পুরনো দাবিতে অনড় বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকেরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজেদের জেলায়, নিজেদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে শিক্ষকতার সুযোগ দেবার দাবি বা বদলির দাবি বহুদিনের। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজের জেলায় বদলি করা হবে। এরপর বহু শিক্ষকের বদলির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তবে, এখনো অনেক শিক্ষকের বদলি বাকি রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে নতুন করে নিয়োগ শুরু হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষকে। ১০,৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে কর্মরত শিক্ষকদের বাড়ছে আশঙ্কা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে, তাঁদের নিজেদের জেলায় বদলির সম্ভাবনা হয়তো আর থাকবে না। তাই দ্রুত বদলির প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি করছেন বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকরা।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হন্ডা জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ২০২০ সালের সরস্বতী পূজার সময় প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজেদের জেলায় বদলি কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর বদলির জন্য ১০ হাজার শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে, এখনও ৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষকদের বদলি বাকি রয়েছে। বারবার তাঁরা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের বদলি করা হয়নি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শিক্ষা দপ্তরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে বদলির কিছু আবেদন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফল বের হওয়ার পর দু মাস চলে গেছে, কিন্তু বদলির ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, বদলি প্রক্রিয়া এখনো বন্ধ হয়নি। বদলির প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে। নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ কালে চাকরিপ্রার্থীদের কলকাতার অফিসে ডেকে অফলাইন কাউন্সেলিং করলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হতে তিন থেকে চার মাস সময় চলে যেত। তবে, অনলাইনে কাউন্সেলিং করা হলে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করা যাবে। তিনি জানিয়েছেন, প্রার্থীরা যে জেলায় শিক্ষকতা করতে ইচ্ছুক, সেই পছন্দের জেলার নাম কাউন্সেলিংয়ের সময় অনলাইনে জানাতে পারবেন। কাউন্সেলিং শেষ হয়ে গেলে প্রার্থীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে নিজেদের নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন পুজোর আগেই ১০ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তিনি আশা করছেন পুজোর অনেক আগেই এক সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে পারবেন তাঁরা।

তবে, বদলি নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা বাড়ছে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের বাসিন্দা হলেন বিশ্বজিৎ মন্ডল। পেশায় তিনি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশিপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি জেলার কোন স্কুলে বদলি চান। কিন্তু এখনো তা হয়নি। পুরুলিয়ার এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকও এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। শিক্ষকদের আশঙ্কা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে, তাঁদের বদলি প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। তাই দ্রুত তাঁরা বদলির আবেদন জানিয়েছেন। এখন সরকার তাঁদের আবেদনে কতটা সাড়া দেয়? সে দিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!