এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন সিম কার্ড দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতসাফাই, আবার ভুয়ো কল সেন্টারের হদিস কলকাতায়

নতুন সিম কার্ড দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতসাফাই, আবার ভুয়ো কল সেন্টারের হদিস কলকাতায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ই সিম কার্ড দেবার নাম করে জনৈক ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তাদের ২৬ সে আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, কেষ্টপুরে তিনটি ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সেখানে হানা দিয়ে একাধিক মোবাইল, প্যান কার্ড, গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, সল্টলেকের এক ব্যবসায়ী শিবরাম অরোরাকে গত ৩১ সে জুলাই থেকে শুরু করে ২ রা আগস্ট পর্যন্ত ক্রমাগত এক সংস্থার নাম করে ব্লাস্ট সার্ভিসে মেসেজ পাঠানো হতো। বারবার মেসেজ করে ই সিম নেবার অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর মেসেজের রিপ্লাই করতেই মালওয়ার ব্যবহার করে তাঁর সিমকার্ড পুরো হ্যাক করে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ নিষ্ক্রিয় থাকে তাঁর সিম। এই সময়ের মধ্যে মোবাইল হ্যাক হয়ে যায় তাঁর। সেই সময় তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৪ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ই সিম কার্ড চালু হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, মাত্র ৩০০ টাকা ব্যাংক একাউন্টে তখন পড়ে আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। লালবাজারের গোয়েন্দারাও শুরু করেন তদন্ত। এরপর রাহুল রায়চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোমা দাস নামে এক মহিলাকে। এদের সঙ্গে আরো বেশ কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে, মনে করছেন গোয়েন্দারা। সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের পর তাদের কাছে ১৬ টি ব্যাংক একাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। কোন কোন একাউন্টে ২০ লক্ষ, কোন কোন একাউন্টে ৪,৫ লক্ষ করে টাকা পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে তাদের কাছে প্রায় ২৩ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, কেষ্টপুরে পাওয়া গেছে তিনটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কেষ্টপুরের তিনটি এলাকাতে তিনটি ভুয়ো কল সেন্টার বসেছিল। প্রতারকেরা যেখান থেকে টাওয়ার বসানোর নাম করে ব্যাপক হারে আর্থিক প্রতারণা করতো। প্রচুর মোবাইল ,প্যান কার্ড, বিভিন্ন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা? সে বিষয়েও সন্ধান করছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!