এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নবাব-গড়ে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ঘাসফুল ঝড়! খড়কুটোর মত উড়ে যাচ্ছে সম্মিলিত বিরোধীরা? জানুন বিস্তারে

নবাব-গড়ে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ঘাসফুল ঝড়! খড়কুটোর মত উড়ে যাচ্ছে সম্মিলিত বিরোধীরা? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির দৃষ্টি এখন একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইতে টিকে আছে। সেই সূত্রেই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি এখন শুরু করেছে নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ। আর এই ঘর গোছানোর সাথে সাথে সমান্তরালভাবে চলছে অন্যের ঘর ভাঙার খেলা। বাংলার শাসক দল তৃণমূল ইতিমধ্যে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদলের মাধ্যমে শুরু করে দিয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। প্রসঙ্গত 2009 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল শিবির রীতিমত চাপের মুখে রাজ্য জয়লাভ করে।

এসবের মধ্যেই বিভিন্ন জেলায় চলছে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পালা। এবার কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা অধীর চৌধুরীর জেলায় হয়ে গেল ব্যাপক দলবদল। বিরোধী শিবিরকে প্রত্যাঘাত করে তৃণমূল তাঁদের দলীয় সংগঠনকে আরো জোরদার করল এই জেলায় বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান টাউনে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। এবং জানা গিয়েছে এই সভাতেই বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকে তৃণমূলে প্রায় 2000 এর বেশি নেতাকর্মী এবং সমর্থক যোগ দিয়েছেন।

এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সামশেরগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম এবং তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সৌমিক হোসেন। এছাড়াও এই সভায় ছিলেন ধুলিয়ান পুরসভার পুরপিতা সুবল সাহা এবং জঙ্গিপুর পুরসভার পুরপিতা মোজাহারুল ইসলাম। জানা গিয়েছে, দলবদলকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দলে স্বাগত জানিয়েছেন আমিরুল ইসলাম ও সৌমিক হোসেনরা। অন্যদিকে তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সঙ্গে পরিচিত এই জেলার অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এদিন জেলা কো-অর্ডিনেটর সৌমিক হোসেন দাবি জানিয়েছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মিডিয়ার গড়ে তোলা। আক্ষরিক অর্থে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই তৃণমূলে। তবে এদিন সৌমিক হোসেন তৃণমূলের সভা মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দল বিরোধী কাজ করে দলে টিকে থাকা যাবেনা। অন্যদিকে, ধুলিয়ানের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, যে ব্যাপকহারে দলবদল হল এদিন তৃণমূলে তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এলাকার সাধারণ মানুষ বিরোধী শিবিরকে ধুয়েমুছে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত কয়েক দিন ধরে তৃণমূল শিবির যেভাবে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাচ্ছে, তাতে করে আগামী দিনে বিরোধীরা যে বেশ চাপে পড়তে চলেছেন সে কথা নিশ্চিত করে বলাই যায়। তবে এদিনের দলবদল নিয়ে অবশ্য বিরোধী পক্ষ থেকে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি এখনো। এই অবস্থায় তৃণমূল শিবির যে এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রীতিমতো টেক্কা দিতে প্রস্তুত সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!