ফিরে আসছে 2014-এর চেনা গল্প,আবার চাপের খেলা শুরু এনডিএর সবথেকে জাতীয় June 5, 2018 অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে বিহারে নীতিশ কুমারই কি এনডিএর মুখ হতে চলেছে! তবে তার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে সবাইকে।কারন এ সপ্তাহের শেষে এনডিএর এক বৈঠকও হওয়ার কথা বিহারে।তবে তার আগে রবিবার নিজেদের মধ্যে এক বৈঠকে বসেন জেডিইউ নেতারা।নীতিশ কুমারের বাসভবনে অনুষ্টিত হয় এই বৈঠক।বৈঠকের পর পবন ভার্মার মন্তব্যে সেই জল্পনা আরও উসকে দিল যে নীতিশ কুমারই হবেন বিহারে এনডিএ জোটের মুখ।উল্লেখ্য,সাম্প্রতিককালে দেশের একাধিক উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির।2019 এ তাই বিজেপির সেই দুর্বলতার সুযোগে তার শরিকরা কে কত আসন নিজেদের বাগে রাখবে তার হোমওয়ার্কও শুরু করে দিল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে পবন ভার্মা বলেন,”বিহারে নীতিশই শেষ কথা।সেই জন্যই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে।জোটে জেডিইউই সবচেয়ে বড় শরিক।রাজনৈতিক মহল মনে করছে,সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচন ই বলে দিচ্ছে এবারে লোকসভায় আর একক সংখ্যাগরিষ্টতা পাবে না বিজেপি।আর এরকম হলে ফের ক্ষমতায় আসতে এনডিএ জোটের শরিকদেরকে লাগবেই গেরুয়া শিবিরের। আর এতেই নিজেদের দরকষাকষি করতে রাস্তায় নেমেছে জোটের শরিকরা। 2014 সালে এনডিএর সঙ্গে ছিলেন না নীতিশ।জেডিইউ একা লড়ে মাত্র সেখানে 2 টি আসন পেয়েছিল।অপরদিকে 40 টি আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল 22 টি ।কিন্তু এরপর দেখা যায় বিহার বিধানসভায় বিজেপির থেকে 20 টি আসন বেশি আছে শরিক দলের।রাজনৈতিক মহল মনে করছে,পবন ভার্মার মন্তব্য থেকে অনেকটাই পরিস্কার বিহারে 2019 এর নির্বাচনে জেডিইউই ই বেশি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সূত্রের খবর,জেডিইউ ছাড়াও এনডিএর শরিক হিসাবে রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সামন্ত পার্টি।এখানেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা,এই দলগুলো শক্তিতে ছোট হলেও এনডিএর বৈঠকে এদেরও আসন নিয়ে জোরালো দাবি শোনা যাবে।প্রসঙ্গত নীতিশ কুমার এনডিএর পুরোনো শরিক ছিলেন,কিন্তু 2014 সালে এনডিএ জোট তাঁকে প্রধানমন্ত্রী মুখ না করে বিজেপির নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করায় চাপ বাড়িয়ে তিনি জোট ছাড়েন।আর আবার লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরোনো খেলায় কি শুরু করলেন নীতিশ কুমার?প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -