এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বর্ণবৈষম্যের রাজনীতিতে মেতেছে গেরুয়া শিবির – পুরোনো শরিকের বিস্ফোরক অভিযোগে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

বর্ণবৈষম্যের রাজনীতিতে মেতেছে গেরুয়া শিবির – পুরোনো শরিকের বিস্ফোরক অভিযোগে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির


লোকসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির কপালে দেখা যাচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। কেননা ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় বিজেপির সাথে যে সমস্ত শরিক দলগুলো ছিল, আজ তাদের মধ্যে অনেকেই বিজেপিকে সরাতে বিরোধী মহাজোটে নাম লিখিয়েছেন। পাশাপাশি দেশজুড়ে ২০১৪ সালের আগে তৈরি হয়েছিল যে মোদী হাওয়া, একের পর এক জিএসটি, নোট বাতিলের মত সিদ্ধান্তে সেই হাওয়াও এখন বদলাতে শুরু করেছে বলে দাবি বিরোধীদের।

বিরোধীদের আরও দাবি, বিজেপির পালে যে হাওয়া নেই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে। আশ্চর্যজনকভাবে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্রিশগড়ে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিরোধীদল কংগ্রেস। আর তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন সাধারণ মানুষকে নিজেদের দিকে টানতে উদ্যোগী হচ্ছে গেরুয়া শিবির, ঠিক তখনই ফের সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই তোপ দাগতে শুরু করল বিজেপিরই ঘনিষ্ঠ দল বলে পরিচিত শিবসেনা।

সূত্রের খবর, শিবসেনার মুখপাত্র সামনায় বিজেপিকে প্রবলভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু, হঠাৎ কেন সামলাতে একদা প্রবল মিত্র দল হিসেবে পরিচিত বিজেপিকে আক্রমন করা হল? একাংশের মতে, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার বিজেপিকে আক্রমণ করে শিবসেনার মুখপাত্র সামনাতে বিভিন্ন সম্পাদকীয় লেখা হয়েছিল। তবে এবার বিজেপি নেতাদের হনুমান এবং দলিতের তুলনা প্রসঙ্গে প্রবল কটাক্ষ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কদিন আগেই রাজস্থানের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, “হনুমান দলিত প্রজাতির”। যে কথাতে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদে সরব হন বিভিন্ন বিরোধী দলগুলিও। তবে নিজেদেরই পুরনো শরিক শিবসেনার মুখপাত্র সামনাতে বিজেপিকে এই ভাবে আক্রমন লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের অত্যন্ত অস্বস্তি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এদিন শিবসেনার মুখপাত্র সামনাতে লেখা হয়েছে, “যারা শ্রী রামের সেবা করে তারা জাতিতে হনুমান – এমনই প্রচার করছে বিজেপি। এককথায় রামের নামে বর্ণবৈষম্যের রাজনীতিতে মেতেছে গেরুয়া শিবির”। পাশাপাশি বিজেপির পক্ষ থেকে ভেদাভেদের রাজনীতিতে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে শিবসেনার এই মুখপত্রতে। আর একের পর এক শরিকের পক্ষ থেকে এই রকম শাসক-বিরোধী মন্তব্য শোনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপিও।

কেননা বিজেপিকে সরাতে এখন সারাদেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে বিরোধী মহাজোট। বিজেপিকে পছন্দ করলেও যারা নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের বিরোধী তাঁদেরকে নিজেদের কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। ফলে যদি এখন বিজেপির শরিকরা রাহুল গান্ধীর এই আহ্বানে সাড়া দেন তাহলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকটা চাপে পড়তে হতে পারে বিজেপির নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটিকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!