এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নেই মাস্ক, নেই দূরত্ববিধি! প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার করোনা জয়ের সংবর্ধনা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলেই

নেই মাস্ক, নেই দূরত্ববিধি! প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার করোনা জয়ের সংবর্ধনা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ২ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। যার মধ্যে কোন মোট মৃত্যুসংখ্যা পার করেছে ৪ হাজারের গন্ডি। রাজ্যের বহু রাজনীতিবিদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে শাসক দলের এক বিধায়কের। মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসকদলের বহু নেতা-মন্ত্রী রাজ্যবাসীকে বারবার মাস্ক পরিধান করতে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু শাসকদলের নেতাকর্মীরাই সামাজিক দূরত্ব অমান্য করে, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে এক বিস্ময়কর কান্ড ঘটালেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। যে ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ হলো বিভিন্ন মহল।

দীর্ঘসময় করোনা আক্রান্ত থাকার পর করোনা মুক্ত হয়ে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন কাঁথি দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা। গতকাল মঙ্গলবার করোনা মুক্ত হবার পর দেশপ্রাণ বিডিও অফিসে একটি বিশেষ মিটিংয়ে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তরুণ জানা। সেসময় প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বিরাট জমায়েত করে তাকে সংবর্ধনা দিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন সদস্য। বাজনা বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে, বিডিও অফিসের সামনে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন।

অভিযোগ উঠেছে গতকাল তাঁর বাড়ি থেকে শুরু করে বিডিও অফিস পর্যন্ত দু কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বিপুল জামায়াতের বিশাল মিছিল বেরিয়েছিল। আর মিছিলকারীদের অধিকাংশেরই মুখে কোন মাস্ক ছিল না, সামাজিক দূরত্ব বিধি হেলায় অমান্য করা হয়েছিল। শাসক দলের সদস্যদের এই কান্ড-কারখানা দেখে এলাকাবাসীরা বেজায় ক্ষুব্ধ। যেখানে এই জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৮ হাজার পার করেছে। সেখানে শাসক দলের নেতাকর্মীদের এমন কান্ড কারখানা কতটা যুক্তিযুক্ত? পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা বিষয়েও ক্ষুব্দ সকলে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অরবিন্দ কুমারকে ফোন করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি, মেসেজ করা হলেও তিনি নিরুত্তর ছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল বিডিও অফিসে তৃণমূল নেতা তরুণ জানাকে অভ্যর্থনা জানালেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌমিতা দাস, বিডিও মনোজ মল্লিক, বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধান, আশা কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অসংখ্য মহিলা। সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা তাদের কাজ, তাদেরই এমনতর আচরণে জনসমাজ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

গতকালের এই ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূল নেতা তরুণ জানার বক্তব্য, ” এক মাসের বেশি সময় অসুস্থ থাকায় প্রশাসনিক কাজকর্ম থেকে দূরে ছিলাম। এদিন উন্নয়ন মিটিংয়ে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। স্থানীয় মানুষ আবেগতাড়িত হয়ে অভ্যর্থনার আয়োজন করেছিল।’’
তবে এ প্রসঙ্গে দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিরাজ গুড়িয়া বলেছেন, ” ব্লক প্রশাসন ও একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উপস্থিত থেকে যে ভাবে সংবর্ধনা জানানো হল, তা লজ্জাজনক ঘটনা। এ ধরনের কর্মসূচি সম্পর্কে সংগঠন কিছুই জাননত না।’’

গতকালের শাসকদলের এই কান্ড কারখানা সম্পর্কে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেছেন, ” আমাদের কর্মসূচিতে স্বল্প সংখ্যক কর্মী উপস্থিত থাকে এবং তারা মুখে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরেও তাঁদের নামে মামলা করে পুলিশ। অথচ তৃণমূল তথা শাসক দল যে ভাবে এ দিন করোনা বিধি ভাঙল তা দেখেও পুলিশ চুপ করে বসে রইল। পুলিশ-প্রশাসন যে রাজ্য সরকারের দলদাসে পরিণত এর থেকেই তা প্রমাণ হয়।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!