প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘদিন ধরেই বদলি হওয়ার রাস্তা বন্ধ। তবে এবার সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হতে পারে সবুজ সংকেত। যার ফলে রাজ্যের শিক্ষক সমাজের মধ্যে ব্যাপক খুশির হাওয়া তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত শিক্ষা দপ্তরের পোর্টাল মারফত সাধারণ বদলি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে হত্যে দিয়ে দিয়ে পড়ে থাকা শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করলেও, তা নিয়ে কোনো রকম সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি সরকারের পক্ষ থেকে। যার ফলে শিক্ষক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের আবহ তৈরি হয়েছিল।তবে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এই ব্যাপারে দরজা খুলে যেতে পারে বলে আশার আবহ তৈরি হয়। আর এবার শিক্ষা দপ্তরের পোর্টাল মারফত সেই সাধারণ বদলি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক খুশি রাজ্যের শিক্ষক সমাজ।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তরের ট্রানস্ফার পোর্টালে সেলফ ইনিশিয়েটিভ বলে একটি অপশনে জেনারেল ট্রান্সফার চালু হয়েছে। যার জেরে শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, মূলত সাধারণ বদলি প্রক্রিয়া আবার সচল করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই অপশন খুলে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে কার্যত স্পষ্ট যে, এবার আবারও শিক্ষকরা সাধারণ বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। মাঝে তা বন্ধ হয়ে গেলেও পোর্টালে এই ব্যাপারে নতুন অপশন চলে আসায় এখন রীতিমত আশাবাদী হয়ে পড়েছেন রাজ্যের শিক্ষক- শিক্ষিকারা। এদিন এই প্রসঙ্গে অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী এবং কমিশনারকে বদলি প্রক্রিয়া শুরু এবং তা নোটিশের মাধ্যমে জানানোর জন্য স্মারকপত্র বিকাশ ভবনে জমা দেওয়া হয়েছে।”

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে এই সাধারণ বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় যথেষ্ট চিন্তার মুখে পড়ে গিয়েছিলেন শিক্ষকরা। বাড়ির কাছে আসার জন্য আবেদনপত্র জমা দিলেও, তা নিয়ে কোনো কাজ হচ্ছিল না। যার ফলে অনেকের মধ্যে ক্ষোভের আবহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে সেই সমস্যা মেটার পথে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার কারণে সাধারণ বললি প্রক্রিয়া যদি আবার খুলে যায়, তাহলে অনেক শিক্ষকরা সেখানে তাদের আবেদন করতে পারবেন।

অর্থাৎ এতদিন আবেদন করার রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই কাজ হোক বা না হোক, আবেদন করার রাস্তা যদি খুলে যায়, তাহলে শিক্ষকদের কাছে তা কিছুটা হলেও আশার আলো হয়ে দাঁড়াবে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেয় শিক্ষা দপ্তর, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।