এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নেতা পরিবর্তন হলেও সংগঠনে ভঙ্গুর দশা! অস্বস্তিতে শাসক দল!

নেতা পরিবর্তন হলেও সংগঠনে ভঙ্গুর দশা! অস্বস্তিতে শাসক দল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ছিল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সভাপতি থাকার সময় গত লোকসভা নির্বাচনে এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয় বিগত বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। তারপর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হোক বা বিজেপির বাড়বাড়ন্ত, যেকোনো কারনেই হেরে যেতে হয় তৃনমূল প্রার্থীকে। আর এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে কোচবিহার জেলায় সভাপতির দায়িত্ব দেন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের কাঁধে।

আশা করা হয়েছিল, নতুন দায়িত্ব পাওয়া জেলা সভাপতি হয়ত বা ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন। কিন্তু সেভাবে কিছুই করতে দেখা যায়নি তাকে। সম্প্রতি তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি আবার পরিবর্তন করা হয়। যেখানে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় পার্থপ্রতিম রায়কে। কিন্তু একের পর এক সভাপতি পরিবর্তন করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে 12 টি ব্লকের সভাপতির নাম ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। যা নিয়ে দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে তাদের প্রভাব ক্রমশ বাড়াতে শুরু করছে, সেখানে তৃণমূল যদি এখন থেকেই ব্লক কমিটিগুলো না সাজিয়ে ফেলে, তাহলে তারা কিভাবে বিজেপির প্রচারের পাল্টা প্রচার করে গেরুয়া শিবিরের মোকাবিলা করবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সংশয় তৈরি হয়েছে। একাংশের মতে, বর্তমান সময়ে যদি কোচবিহার জেলায় ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়, তাহলে দলে গোষ্ঠী কোন্দল বাড়তে পারে। কেননা পুরনো ব্লক সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হলে তারা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেন। যার প্রভাব পড়তে পারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। তাই এখন এই ব্যাপারে বুঝেশুনেই পদক্ষেপ নিতে চাইছে শাসক দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই ব্লক সভাপতি পরিবর্তন হতে পারে বলে জল্পনা ছড়ানোর সাথে সাথেই অনেক তৃণমূলের নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরে ফেলেছেন। যেখানে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরানো হলে তারা যে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যার ফলে কার্যত ঘরে-বাইরে চাপে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। একদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দেওয়া হবে, নাকি ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের মত সাহস নেবেন জেলা নেতারা, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় রাজনৈতিক মহলের কাছে।

এদিকে এমত একটা পরিস্থিতির মধ্যেই তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে জেলা বিজেপি নেতা সুদেব কর্মকারকে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তারা আমাদের দলে আসবেন। ক্ষমতা থাকলে দলের ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করুক। লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর দু’বার জেলা সভাপতি বদল করেও তৃণমূলের ভাঙ্গন ঠেকাতে পারেনি তৃণমূল। আসলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর কাটমানির দলটাই আর থাকবে না।”  এদিকে বিজেপির এহেন মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়‌। তিনি বলেন, “যথাযথ সময়ে আমরা বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেব। ব্লক সভাপতি করার বিষয়টা রাজ্য কমিটিতে হবে। তাই এই নিয়ে আমি কিছু বলব না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষে সংগঠনকে সাজানো অত্যন্ত জরুরী। কেননা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যদি ভালো ফল করতে হয়, তাহলে স্বচ্ছ মুখের সামনে এনে সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে হবে। কিন্তু এখন পুরনো নেতাদের যদি সরানো হয়, তাহলে তারা দল ছাড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে। সেদিক থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই প্রভাব বাড়াতে শুরু করবে। তাই এই সমস্ত কিছুর ওপর নির্ভর করে ব্লক কমিটি করার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এই ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!