এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নেতাজির সঙ্গে এক পংক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান, বিতর্ক তুঙ্গে

নেতাজির সঙ্গে এক পংক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান, বিতর্ক তুঙ্গে

মালদায় নেতাজির জন্মজয়ন্তী নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হলো। প্রতিবারের মতো এবার ও নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালিত হয় এখানে। দেখা যায় যে মঞ্চে টাঙানো রয়েছে এক বিশালাকার হোর্ডিং আর তাতে মাঝখানে নেতাজির ছবি সে তো খুব ভালো কথা কিন্তু এর সাথে যা দেখা গেলো তা হলো ,একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি
আর আরেক দিকে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ এবং ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারের ছবি। আর এই ছবি জন্মজয়ন্তী ঘিরেই বিতর্ক শুরু হলো।সাথে চলে বঙ্গ বিদ্রুপও। ফলে তাড়াতাড়ি এই ঘটনাকে সামাল দিয়তে মাঠে নেমে পরে তৃণমূল শিবির। এদিন বড় বড় ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় নীহারবাবু ও দুলালবাবুর ছবি।এই বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহারবাবু বলেন আজ নেতাজির মূর্তিতে মালা দিতে গিয়েই বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। ওই হোর্ডিং পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীরা লাগিয়েছেন। এর জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। যদিও এর পিছনে বিরোধীদের কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে কিন্তু বিরোধীরা এতে মুখ খুলতে ছাড়েন নি। এদিন পৌরসভার সিপিআইএম কাউন্সিলর দুলালনন্দন চাকি বলেন, আমি তিনবার পৌরসভার কাউন্সিলর হয়েছি। বহু বছর রাজনীতি করছি। আগে কখনও এরকম ঘটনা দেখিনি। পাশাপাশি সিপিআইএমের বিধায়ক খগেন মুর্মু বলেন, “তৃণমূলের এটাই সংস্কৃতি। রাজ্যে এখন একজনই আছেন। তিনি মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ছবি ঢাকা হলে নীহারবাবু বা দুলালবাবুর পদ থাকবে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। তাই নেত্রী নেতাজির পাশে বহাল তবিয়তেই থাকবেন।” এক বিজেপি নেতা কটাক্ষ করে বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ও তার দলের নেতারা সবাই শুধু নেতাজির সমগোত্রীয়ই নন , নেতাজির থেকেও বড়। আগেও তো হোডিং এ নেতাজিকে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের তলায় রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।তছাড়া কলেজে সব মনীষীদের নামের আগে মমতা ব্যানার্জীর নাম বসিয়েছে। সবার থেকে বড় তাই কাউকেই সম্মান জানায়না ওরা।এটাই তৃণমূলের কালচার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!