এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > স্বামীজি-নেতাজিকে সামনে রেখেই বাংলা জুড়ে ঝড় তোলার পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির

স্বামীজি-নেতাজিকে সামনে রেখেই বাংলা জুড়ে ঝড় তোলার পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির


বাংলাকে বিজেপি চাইলেও বাংলা কি আদৌ বিজেপিকে চায়? বঙ্গ রাজনীতিতে এই প্রশ্ন তুলেই এখন গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বিজেপিকে বাঙ্গালী বিদ্বেষী বলে তোপ দাগছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। এমনকি রাজ্যের শাসকদলের এহেন বক্তব্য অনেকটাই দাগ কেটেছে বাংলার মানুষের মননেও।

বাংলার সিংহভাগ বুদ্ধিজীবী মানুষ ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছেন যে, এই বিজেপি মূলত হিন্দিভাষীদের পার্টি। তাই বিহার, উত্তরপ্রদেশের মত বাংলায় তারা সাধারণ মানুষের মনে ঠাঁই করে নিতে পারবে না। কিন্তু যে করেই হোক আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই বাংলায় এবার মাথা তুলতেই হবে বিজেপিকে।

কেননা এবার এই বাংলাকেই পাখির চোখ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর তাই তার প্রথম ধাপের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের 42 টি লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে বাংলার 3 প্রান্ত থেকে এক রথ যাত্রারও পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। যার নাম দেওয়া হয়েছে “গণতন্ত্র বাঁচাও”।

কিন্তু যতই রথযাত্রার আয়োজন করা হোক না কেন, বাঙালির আবেগকে উস্কে দিতে যে বাংলার কোনো মুখকেই ব্যবহার করতে হবে তা ভালোই উপলব্ধি করতে পারছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। আর তাই তো এবার সেই রথযাত্রাতেও বাংলার স্বামী বিবেকানন্দ এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে হাতিয়ার করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। সূত্রের খবর, আগামী দিনে এই রাজ্যে বিজেপির সমস্ত কর্মসূচিতেই এই দুই মনীষীর ছবি ব্যবহার করা হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে জাতীয় ক্ষেত্রে দলীয় স্তরে প্রায় সমস্ত অনুষ্ঠানেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করছে বিজেপি। আর এবার বাংলায় দাগ কাটতে এবার বাংলার মনীষীদেরকেই হাতিয়ার করতে চলেছে তারা। কিন্তু এই স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি ব্যবহার করার বুদ্ধি ঠিক কার, মাথা থেকে এল?

জানা গেছে প্রথমে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একটি প্রস্তাব দেন রাজ্য বিজেপি সহ সভাপতি তথা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো চন্দ্রকুমার বসু। আর এরপরেই গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে প্রাথমিক অনুমোদন মেলার পর রাজ্যে আসা রাজ্য বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের সঙ্গে একটি আলোচনা করেন সেই চন্দ্র বসু। আর এরপরই তা গৃহীত হয়।

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই চন্দ্র বসু বলেন, “অটলজি, আদবানিজীর আমলে দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিবেকানন্দ এবং সুভাষ বসুর ছবি ব্যবহার করা হত। তবে কোনো অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু নতুন প্রজন্মকে এই দুই মনীষীর আদর্শে অনুপ্রাণিত না করলেই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথাচাড়া দেবে। তাই দলীয় কর্মসূচিতেও এবার থেকে এই দুই ব্যক্তিত্বকে সামনে আনা হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অভিযোগ তোলেন যে, এখানে বাংলা ঘরানার তেমন কোনো লোক নেই। এমনকি বাংলা থেকে গ্রহণযোগ্য মুখেরও অভাব রয়েছে। তাই এবারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রথযাত্রার কর্মসূচিতে বাংলার দুই স্বনামধন্য মনীষী বিবেকানন্দ এবং সুভাষকে সামনে রেখে নিজেদের বঙ্গ প্রেম উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টায় রাজ্য বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!