নেতার বিজেপিতে যোগদানে দলে থেকেও ভোট কাটাকুটি করতে পারেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা, আশঙ্কা তৃণমূলের! উত্তরবঙ্গ রাজ্য March 16, 2020 এককালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে বলা হত বিপ্লব মিত্রের শক্ত ঘাঁটি। তৃণমূল কংগ্রেস অপেক্ষা এখানেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের নির্দেশেই চলতেন সবাই। এক কথায় তিনিই ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শেষ কথা। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে মানতে পারেননি বিপ্লব মিত্র। যার পরে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর যখন অর্পিতা ঘোষ হেরে যায়, তখন জেলা সভাপতি পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এরপরই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। এদিকে বিপ্লববাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই, বালুরঘাট পৌরসভায় তার অনুগামী বলে পরিচিত একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর ঘরে বসে যেতে শুরু করেন। বিভিন্ন মিটিং মিছিলে তাদের আর সেভাবে দেখা যায় না। ফলে এবারের পৌরসভা নির্বাচনে বালুরঘাট পৌরসভায় তৃণমূলের সেই সমস্ত বিদায়ী কাউন্সিলররা তথা বিপ্লব মিত্র অনুগামীরা আর টিকিট পাবেন না বলেই মনে করছেন একাংশ। আর যদি তারা টিকিট না পায়, তাহলে তারা তৃণমূলকে হারানোর জন্য চেষ্টা করতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। যার ফলে এখন জেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সংশয়। অনেকে বলছেন, বিপ্লব মিত্রের অনুগামী বলে পরিচিত যে সমস্ত কাউন্সিলররা বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ঘরে বসে রয়েছেন, তারা যদি টিকিট না পায় এবং তারা যদি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করান, তাহলে শাসকদল বালুরঘাট পৌরসভায় ব্যাপক চাপে পড়বে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা এমনিতেই পাঁচ বছর তৃনমূল এই বালুরঘাট পৌরবোর্ড চালানোর পর, তাদের সিংহভাগ কাউন্সিলারের নামে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যা আগামী পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে অনেকটাই চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে যদি দলের বসে পড়া বিদায়ী কাউন্সিলররা দলের বিরুদ্ধেই ভোট করান, তাহলে তৃণমূলের কাছে তা গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে যেতে পারে। যদিও বা এই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট টাউন তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, “দল কারও নামে চলে না। মানুষ দলকে ভালোবাসে। যে যখন দায়িত্বে থাকবেন, তার কথাই কর্মীরা শুনবেন। পৌরভোটের এখনও দেরি আছে। আমরা বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই ভেবে দেখব।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস যদি বিপ্লব অনুগামী কাউন্সিলরদের চাপে না পড়তে চায়, তাহলে তাদের টিকিট দিতে হবে। তবে যদি তৃণমূল তাদের টিকিট না দেয়, তাহলে ভোট কাটাকুটি হতে পারে। এখন সেই সমস্ত বিদায়ী কাউন্সিলরদের বাগে আনতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো রননীতি প্রয়োগ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -