নেত্রীকে বড়সড় উপহার দিতে নাছোড়বান্দা বীরভূমের কেষ্টা, তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য October 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্ত্রীর অসুস্থ থাকা কিংবা মায়ের মৃত্যুর সময়েও দলের প্রতি কর্তব্য থেকে বিরত থাকেননি তিনি। সবসময় দলকে কিভাবে সাফল্য পালিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য চেষ্টা করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শত প্রতিকূলতা এবং বিজেপির প্রভাব থাকা সত্ত্বেও, গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে মশগুল থাকতে দেখা যাচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তার মূল টার্গেট আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সবকটি আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া। তাই দিনরাত এক করে বুথে বুথে গিয়ে কর্মীদের সমস্যার কথা শুনছেন অনুব্রতবাবু। বস্তুত, প্রায় দু মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা ধরে সভা করতে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। শরীরের বেশ কিছু অসুস্থতা রয়েছে তার। কিন্তু তা সত্ত্বেও সকাল-সকাল স্নান সেরে কিছু খেয়ে বেলা এগারোটার মধ্যে বেরিয়ে পড়েন সভাস্থলের উদ্দেশ্যে। লক্ষ্য একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান রাখতে হবে। আর সেই কারণে এখন থেকেই উঠে পড়ে লেগেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। কিন্তু এত ধকল কি কারও সহ্য হয়? একসাথে কতদিক সামলান তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আগে দেরিতে উঠতাম। এখন সকাল সাড়ে সাতটায় উঠে পড়ি। নিয়ম করে হাঁটি। তারপর চা খাই। এরপর ফিজিওথেরাপি করাই। তারপর পৌনে 10 টার সময় স্নান সেরে পুজো করে বেলা এগারোটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে দশটার পরে শুতে যাই। পরদিন উঠে একই রুটিন।” দলের কর্মীরা বলেন, সন্ধ্যাবেলায় ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিয়ে আবার পরের দিনের জন্য তৈরি হন অনুব্রত মণ্ডল। তার কোনো বিরাম নেই। তার এখন একটাই লক্ষ্য, দলকে জেতাতে হবে। আর তাই হাড়মাস এক করে পরিশ্রম করছেন তিনি। তবে বুথে বুথে গিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন এবং তা সমাধানের চেষ্টা করছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি, তাতে অনেকটাই কাজ হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যেভাবে বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে, তাতে আদৌ অনুব্রত মণ্ডল সমস্ত আসন নেত্রীর হাতে তুলে দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে একাংশের মধ্যে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বিরোধীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এতদিন অনুব্রত মণ্ডলকে কোথাও দেখা যায়নি। যেহেতু সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে বলেই তিনি এখন বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন করছেন। তবে বিরোধীদের এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ অনুব্রতবাবু। তিনি বলেন, ” দলের ভিত্তিই হল বুথভিত্তিক সংগঠন মজবুত করা। কেন কি সমস্যার জন্য একটা বুথে পিছিয়ে আছি, তা জানার জন্যই তো সম্মেলন করছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সহজ স্বাভাবিক ছবি উঠে আসছে। কথা শোনার জন্যই তো সভা। বিরক্ত হলে চলবে কি করে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসক থেকে বিরোধী সকলেই বুথের সংগঠন ঠিক করার দিকে এক নজর দিচ্ছে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে অনুব্রত মণ্ডল। তিনি অনেক দিন আগে থেকেই এই বুথভিত্তিক কর্মীসভার মধ্যে দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের অভাব অভিযোগ শুনে তা কিভাবে সমাধান করতে হবে, তার পথ বাতলে দিচ্ছেন। অর্থাৎ বীরভূম জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে বুথের সংগঠনের উপর সবথেকে বেশি জোর দিতে শুরু করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যার কারণে শরীর থেকে মন সমস্ত কিছুই এখন দলের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দলের কর্মসূচিতে নিবেদিতপ্রাণ থাকতে দেখা যাচ্ছে বীরভূমের কেষ্টবাবুকে। তবে জনতা জনার্দনের কাছে কেষ্টবাবুর এই ভাবে পৌঁছে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বীরভূম জেলায় কতটা শক্তি যোগাতে পারে, তা আগামী ভোটবাক্স খোলার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -