এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নেত্রীর গায়ে আঁচটুকু লাগতে না দেওয়া হেভিওয়েট নেতা প্রয়াত! কঠিন সময়ে দলের বিদ্রোহ সামলাবে কে?

নেত্রীর গায়ে আঁচটুকু লাগতে না দেওয়া হেভিওয়েট নেতা প্রয়াত! কঠিন সময়ে দলের বিদ্রোহ সামলাবে কে?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলের সমস্ত সমস্যা সমাধান করতেন তিনি। কিছুদিন আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করে 23 জন কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। আর তারপরেই সেই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতাদের মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন সদ্যপ্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল। মূলত দ্রুত সংগঠনকে চাঙ্গা করে যাতে বিক্ষুব্ধদের মান ভাঙানো যায় এবং কোনো অসুবিধে না হয়, সেই সমস্ত কাজ ছিল এই কংগ্রেস নেতার ওপর। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানো কংগ্রেস নেতা সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। আর তারপরেই দলের হাল কে ধরবে এবং বিক্ষোভ কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে, তা এখন প্রধান চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এক নেতা বলেন, “আহমেদ ভাইয়ের কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার প্রমাণ হল, বিহারের ভোটে কংগ্রেসের খারাপ ফলের পর গুলাম নবি আজাদ এবং কপিল সিব্বলের মত বিক্ষুব্ধ নেতারা ফের নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।” অর্থাৎ বিক্ষুব্ধদের মান ভাঙানোর পেছনে এই নেতার ভূমিকা যে অপরিহার্য ছিল, তা বলাই যায়। স্বাভাবিকভাবেই দিনকে দিন যখন কংগ্রেসের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে এবং দলে বিদ্রোহের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, তখন কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, এখন সেটাই চিন্তার বিষয় হাত শিবিরের কাছে।

তবে শুধু বিক্ষুব্ধদের বোঝানোই নয়, আহমেদ প্যাটেল প্রয়াত হওয়ার পর কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব কে নেবে, এখন তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে হাত শিবিরের অন্দরমহলে‌। পাশাপাশি এতদিন কংগ্রেস নানা নির্বাচনে পরাজিত হলেও, সেই রেশ যাতে সোনিয়া গান্ধীর কাঁধে না পড়ে, তার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন আহমেদ প্যাটেল। কিন্তু তিনি এখন চলে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি কে সামলাবেন, সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার আহমেদ প্যাটেল এবং তরুণ গগৈ-এর মৃত্যুর শোকজ্ঞাপনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে গোয়া থেকে এই বৈঠকে যোগ দেন সোনিয়া গান্ধী। আর সেখানেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির শোক প্রস্তাবে বলা হয়, “একে অন্যকে টেক্কা দিতে চাওয়া, দলের উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতাদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে আহমেদের ক্ষমতা ছিল অতুলনীয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলেন, মৃত্যুর পরে যারা মানুষকে মনে রাখবে, তারাই প্রকৃত মানুষ। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের সংগঠনে সব সময় ভারসাম্য বজায় রাখা আহমেদ প্যাটেলের অভাব যে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে শুরু করেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব, তা এককথায় পরিষ্কার বলেই মনে করছেন সকলে। কংগ্রেসের কাছে এখন আহমেদ প্যাটেলের শূন্যস্থান পূরণ করা যেন রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শোনার লোকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সেই দলের বিরুদ্ধে নানা অভাব অভিযোগ থাকে। কিন্তু সেই সমস্যা শুনে তা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া লোকের অভাব বড়ই কম। যার ফলে তৈরি হয় সমস্যা। কিন্তু আহমেদ প্যাটেল এতদিন কংগ্রেসে থেকে সেই কাজটির উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

কিন্তু তিনি প্রয়াত হওয়ার পর এখন সেই কাজ কে করবেন, সেটাই ভাবাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এমনিতেই বিভিন্ন রাজ্যে তাদের পরাজয় হচ্ছে। তার মধ্যে দলের ভারসাম্য রক্ষা করা নেতা প্রয়াত হওয়ায় ব্যাপক চিন্তায় পড়েছে হাত শিবির। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!