নতুন কমিটি নিয়ে কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে এবার রাজ্যের হেভিওয়েট দুই মন্ত্রী, ২১ এর আগে প্রবল অস্বস্তি উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য July 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য নানা কমিটি পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছে শাসক দল। কিন্তু এবার কমিটি পরিবর্তন নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে বেঁধে গেল গন্ডগোল। যে ঘটনায় কার্যত কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলেও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মলয় ঘটককে। আর দলের সাফল্যের জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব এই কমিটি করলেও, সেখানে যেভাবে কর্মীদের বিক্ষোভ শুরু হল, তাতে ঘাসফুল শিবির এখন রীতিমত চিন্তায়। সূত্রের খবর, বুধবার রাজ্যের তিন মন্ত্রী গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস এবং মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ি জেলা এবং ব্লক স্তরের কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে সেই কমিটিতে কারা জায়গা পেলেন, তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পরেই কিছু তৃণমূল কর্মী জেলা কার্যালয়ের সামনে তাদের বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে দেন। তাদের দাবি, ময়নাগুড়ির ব্লক সভাপতি হিসেবে মনোজ রায়ের নাম ঘোষণা করাতেই তাদের এই আপত্তি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশের অভিযোগ, ময়নাগুড়ির তৃণমূল নেতা ডালিম রায়ের অনুগামীরা এদিন এই নয়া কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, তাদের দাবি, টাকা দিয়ে পদ কেনাবেচা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ডালিম রায়ের অনুগামী বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মী অমিত গোপ বলেন, “দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। পদের জন্য টাকার লেনদেন হচ্ছে। এটা আমরা মেনে নেব না।” জানা যায়, এদিন তৃণমূল কর্মীদের এই বিক্ষোভের গৌতম দেব সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারলেও, দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং অরুপ বিশ্বাস আটকে যান। যার ফলে আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পুলিশ এসে সকলকে শান্ত করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, জলপাইগুড়ি জেলায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নতুন কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে সেই কমিটিতেও পক্ষপাতদুষ্টের অভিযোগ তুলল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এবং যেভাবে তারা প্রতিবাদ করলেন, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ল শাসক দল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -