এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘অভিযুক্তের’ নেতৃত্বে দুর্নীতি তদন্ত! প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলীয় নেতারাই!

‘অভিযুক্তের’ নেতৃত্বে দুর্নীতি তদন্ত! প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলীয় নেতারাই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুদ্ধিকরণের জোর দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অনিয়ম দেখলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি চুঁচুড়া পৌরসভা একটি নিয়োগ নিয়ে চরম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের নেতাদের অনেক নিকটাত্মীয় থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরকে সেই পৌরসভায় চাকরি দেওয়ার জন্য সরব বিরোধীরা।

আর এরপরই সেই নিয়োগ তালিকা বাতিলের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই নিয়োগে থাকা লোকদের দিয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে পৌরসভার বিরুদ্ধে। আর এবার এই চুঁচুড়া পৌরসভায় নিয়োগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বর্তমানে পৌর প্রশাসককে কমিটিতে রেখে সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিভাবে স্বচ্ছতা থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

যেখানে এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন বর্তমান পৌরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য তথা বিদায়ী উপ পৌরপ্রধান অমিত রায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই পৌরসভায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে 54 জনের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তা বাতিলের নির্দেশ দেন। এমনকি দলের ভাবমূর্তিতে ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এবার বর্তমান পৌর প্রশাসককে সামনে রেখে যেভাবে এই পৌরসভার নিয়োগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার, তাতে সেই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলেরই অমিত রায়। এদিন তিনি বলেন, “যারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের পৌরসভায় রেখে তদন্ত করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পৌর প্রশাসক কমিটি ভেঙে দেওয়া হোক।”

তিনি আরও বলেন, “অভিজ্ঞতার নিরিখে সাফাই কর্মী এবং পিওনদের স্থায়ী করা যেত। কিন্তু তা হয়নি। বোর্ড মিটিংয়ে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। নিয়োগ নিয়ে অন্ধকারে ছিলাম। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলছেন। অথচ এখানে দলকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।” এদিকে তৃণমূলের নেতা হয়ে যেভাবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও, পৌর প্রশাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অমিত রায়, তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

এদিন এই প্রসঙ্গে অমিত রায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তেমনভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা পৌর প্রশাসক গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায়‌। তিনি বলেন, “তদন্তের নির্দেশ পাইনি। সরকার লিখিতভাবে যে নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।” এদিকে গোটা ঘটনায় অনেকটাই চাপে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “গোটা বিষয়টির ওপর সাংগঠনিকভাবে দল নজর রাখছে।”

দিলীপবাবু স্পষ্ট করে দেন, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে দল আপস করছে না। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” সব মিলিয়ে এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পৌরসভায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও, বর্তমান প্রশাসকের নেতৃত্বে কি করে তদন্ত হবে! তার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়ে রীতিমত দল এবং সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের নেতা অমিত রায়। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!