এখন শাসকদলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, তাই জয়দেব জানাকে ‘কেউ খুন করে নি!’ মেদিনীপুর রাজ্য January 17, 2019 গত ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে সবংয়ের দুবরাজপুরে খুন হতে হয় তৃণমূল কর্মী জয়দীপ জানাকে। আর এই ঘটনায় তৎকালীন বাম- কংগ্রেস জোটে থাকা কংগ্রেস নেতা তথা বর্তমান তৃণমূল সাংসদ মানস ভূঁইয়ার নাম জড়িয়ে পড়ে। তবে শুধু মানসবাবুই নয়, এই ঘটনায় বাম এবং কংগ্রেসের মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহত জয়দেব জানার প্রতিবেশী জয়দেব মেট্যা। আর এই ঘটনার পরই দলবল নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন সেই মানস ভুঁইয়া। এদিকে প্রথমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও পরবর্তীতে আর গ্রেপ্তার হননি মানস ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। কিন্তু দলবদলের ফলে মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে সেই মামলা মিটে গেলেও এতদিন মানস ভূঁইয়ার অনুগামী বলে পরিচিত আরও ২২ জনের নামে যে চার্জশিট আদালতে জমা পড়েছিল এদিন তারা প্রত্যেকেই বেকসুর খালাস পেলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পল্লব রায়চৌধুরীর এজলাসে এই মামলা চলছিল। আর এদিন সেই মামলায় ১৮ জনের সাক্ষের ভিত্তিতে প্রত্যেকেই বেকসুর খালাস হয়ে যান। আর অভিযুক্তদের এই বেকসুর খালাস পাওয়ার কথা জানান সরকারি আইনজীবী গৌতম মল্লিক। অন্যদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সবংয়ের যুব তৃনমূলের সভাপতি আবু কালাম বক্সও এদিন ছাড়া পেয়েছেন। এদিকে এদিন অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের খবর শুনে হতচকিত হয়ে যান সেই নিহত জয়দেব জানার স্ত্রী মানসী জানা। এদিন তিনি বলেন, “আমি এই ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না”। অন্যদিকে এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মিথ্যা মামলা এই সরকারের অঙ্গের ভূষণ। কিন্তু পরে যদি কেউ শাসকদলে নাম লেখান এবং বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগ্রাহী হয়ে ওঠেন তাহলে তার জন্য সাত খুন মাপ। এদিনের ঘটনার মধ্য দিয়ে তা ফের প্রমাণ হল”। অন্যদিকে মামলা থেকে বাঁচতেই অভিযুক্তরা তৃণমূলে গিয়েছেন বলে এদিন খোঁচা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সব মিলিয়ে এবার সবংয়ের দুবরাজপুরের নিহত তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা খুনের ঘটনায় বেকসুর খালাস হলেন অভিযুক্তরা। আপনার মতামত জানান -