এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উপনির্বাচনের আগে বিজেপির ‘বদান্যতায়’ স্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী! তীব্র কটাক্ষ শুরু বিরোধীদের

উপনির্বাচনের আগে বিজেপির ‘বদান্যতায়’ স্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী! তীব্র কটাক্ষ শুরু বিরোধীদের


সিকিমে ৩ আসনের উপনির্বাচনের আগে, বিজেপির ‘বদান্যতায়’ সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ‘বিশেষ’ সুবিধা পেতে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর যা নিয়ে কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছে সিকিমের রাজনীতি। বিরোধী দলগুলি বিজেপির এই ‘পদক্ষেপে’ কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে। ফলে, তিন আসনের উপনির্বাচনের আগে কার্যত উত্তপ্ত পরিস্থিতি সেখানে।

মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শেষ হওয়ার একদিন আগে বড় রেহাই পেলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। তিনি পিএস গোলে নামেই বেশি পরিচিত। রবিবার এক নির্দেশে নির্বাচন কমিশন জানায়, তিনি সামনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

এবছরের ২৮ মে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তামাং। বিধানসভার সদস্য না হওয়ার কারণে ছয়মাসের মধ্যেই তাঁকে জিতে আসতে হত। সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা তাঁকে সামনে রেখেই নির্বাচনে লড়াই করেছিল। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রেম সিং তামাং-এর দল ভারতে সব থেকে বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকা পবন চামলিং-এর দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে হারিয়ে দেয়।

কিন্তু ১৯৫১-এর জন প্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী, জেলবাস করলে ছয় বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না কেউ। দুর্নীতির কারণে প্রেম সিং তামাং ২০১৭ সালে জেলে গিয়েছিলেন। একবছর তিনি জেলেই ছিলেন। তামাং-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে রবিবার সেই শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে দেওয়ার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তামাং বলেন, ভগবানের প্রতি তাঁর পুরো বিশ্বাস রয়েছে। দেশের আইনের প্রতিও তাঁর বিশ্বাস রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কেননা নির্বাচন কমিশন শাস্তি শিথিল না করলে মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হত। ২১ অক্টোবরের উপনির্বাচনে বিজেপি ও এসকেএম জোট করেছে। এই নির্বাচনে বিজেপি ২ টি আসনে আর তামাং-এর এসকেএম একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

যদিও সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। ক্ষমতা আর অর্থের কাছে মাথা নোয়ানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়ার হামরো সিকিম পার্টির অভিযোগ, সিকিমে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিয়ে বিজেপি আইন নিয়ে খেলা করছে।

প্রসঙ্গত, লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে ৩২ আসনের সিকিম বিধানসভায় নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে এসকেএম ১৭ টি আসন এবং এসডিএফ ১৫ টি আসন পায়। কিন্তু এসকেএম-এর একজন এবং এসডিএফ-এর দুজন দুটি করে আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তাই তিনটি আসনে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে। এদিকে ১৩-র মধ্যে ১০ এসডিএফ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেয়।

অন্যদিকে দুজন বিধায়ক যোগ দেন এসকেএম-এ। বর্তমানে সিকিম বিধানসভায় এসকেএম-এর ১৮ টি আসন রয়েছে। বিজেপির ১০ টি এবং এসডিএফ-এর একজন বিধায়ক রয়েছেন। তিনি হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চামলিং নিজেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!