এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বহু পদ খালি রেখেই নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করে নতুন বিতর্কে জড়ালো এসএসসি

বহু পদ খালি রেখেই নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করে নতুন বিতর্কে জড়ালো এসএসসি


বহুদিন ধরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় ভুগেছে। সে জট কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মেরিট লিস্ট এবং শূন্যপদ সংখ্যা প্রকাশিত হলে ফের নতুন বিতর্কে জড়ালো এসএসসি। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকা বেরিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। সেখানে দেখা গিয়েছে শূন্যপদ ৫ হাজার ২০০ জনের নিরিখে সফল প্রার্থী ৪ হাজার ১৯৬ জন।

আর এবার মাধ্যমিক স্তরে মাত্র ৭ হাজার ৬৬২ টি পদে যোগ্য প্রার্থী মিলেছে। আর ৮ হাজার ২৫৬ জনকে রাখা হয়েছে ওয়েটিং লিস্টে। অথচ কমিশন বলছে ৫ হাজার ২৪৩ টি শূন্যপদের নাকি প্রার্থীই পাওয়া যায় নি। বদলি বা নির্দিষ্টভাবে বললে বিশেষ বদলির জন্যই কমিশন শূন্যপদ ধরে রেখেছে। এমনটাই দাবী করেছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল। বক্তব্যে তিনি আরো জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থী যে নেই তা এসএসসির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

এদিকে,প্রশ্ন উঠছে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও এতো সংখ্যক প্রার্থীকে ওয়েটিং লিস্টে রাখার অর্থ কী? গোটা বিষয়টাই অস্বাভাবিক বলে দাবী করেছেন স্বপনবাবু। এসএসসি যে চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে তাতেও গরমিল আছে বলেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই ইস্যুতে অবিলম্বে তদন্ত প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিশেষ বদলির অর্ডার পাওয়ার পর বহু শিক্ষিকা শূন্যপদের অভাবে বাড়ির নিকটস্থ স্কুলে কাজে যোগ দিতে পারছিলেন না। প্রসঙ্গত, এ ধরনের বদলির জন্য শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন লাগে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সত্ত্বেও শিক্ষিকারা স্কুলে যোগ দিতে পারছেন না, এটা এসএসসির জন্য বেশ অস্বস্তির। এই বিষয়টা মাথায় রেখেই কি এতো শূন্যপদ রাখা হয়েছে? বিভিন্ন মহল থেকেই দফায় দফায় উঠছে প্রশ্ন। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষক আবার নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে দেখেছেন সেখানে কোনো শূন্যপদই নেই। এরকম প্রার্থীকে আবার এসএসসি থেকে মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়েছে বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টের মধ্যে এসএসসির অফিসে এসে অন্য স্কুলের নাম নিয়ে যেতে।

এরপরও প্রশ্ন থাকছে। কাউন্সিলিংয়ে যে স্কুলের নাম পেলেন কোন শিক্ষক, সেটা হঠাৎ করে পাল্টে যাবে কেন? কাউন্সিলিংয়ের মতো সার্বিক প্রক্রিয়াকে অগ্রাহ্য করে কেনই বা অন্য স্কুল দেওয়া হবে প্রার্থীদেরকে? এসব নানা প্রশ্নের নিরিখে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার দাবী তুলে গতকাল এসএসসি যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চ নামে চাকরিপার্থীদের একটি সংগঠন নবান্ন অভিযানের আহ্বান জানায়।

মঞ্চের সদস্যরা থালা-বাসন বাজিয়ে শিয়লদা থেকে মিছিল শুরু করে। ধর্মতলা পর্যন্ত যাওয়ার পর পুলিশ তাদের মেয়ো রোডের দিকে যেতে বলে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ এবং উন্মুক্ত করতে হবে। শুধু তাই নয়,ছাত্র শিক্ষক অনুপাত মেনেই পূরণ করতে হবে শূণ্যপদ, অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা চলবে না – এগুলোই ছিল সংগঠনটির মূল দাবী। এই দাবীপত্রই গতকালসংগঠনের তরফে চারজনের এক প্রতিনিধিদল গিয়ে নবান্নে জমা করে এসেছেন বলেও জানা গিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!