শাসকদলের সরকারি কর্মী সংগঠনের লেটারহেডে সই জাল! বিতর্ক বাড়িয়ে ভেঙেই দেওয়া হল কমিটি! কলকাতা রাজ্য December 15, 2018 লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে – ততই যেন অনভিপ্রেত অভিযোগে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবরে টালমাটাল শাসকশিবিরের অন্দরমহল – তখন এবার সামনে এল আরেক অভিনব ও বিস্ফোরক অভিযোগ। আর তার জেরে রীতিমত বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্ব। সূত্রের খবর, শাসকদল প্রভাবিত কৃষি দপ্তরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন কমিটির আহ্বায়ক স্বয়ং, এবার সেই কমিটির বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে জানালেন – যে তাঁর সই নাকি জাল করা হয়েছে! আর এই অভিযোগ যে সে জায়গায় নয় – একেবারে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সামনে তুলে রীতিমত হইচই ফেলে দিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক তপন গড়াই। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা শাসকদলের মহাসচিব পার্থবাবুর উপস্থিতিতে কোর কমিটির বৈঠকে তপনবাবু অভিযোগ তুলে জানালেন, যে কমিটির সদস্যদের তালিকা সম্বলিত লেটারহেডে তাঁর সই নাকি জাল করা হয়েছে! আর এই অভিযোগকে ঘিরে এতটাই চাঞ্চল্য ছড়ায় যে এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার পার্থবাবুর নির্দেশে ভেঙেই দেওয়া হল ওই কমিটি! এই প্রসঙ্গে পার্থবাবুর বক্তব্য, নিয়ম মাফিক, কোন ফেডারেশনের কমিটি গঠন করতে হলে কমপক্ষে তিনজন আহ্বায়কের সই লাগে – নাহলে সেই কমিটির বৈধতা থাকে না। অন্যদিকে, তপনবাবু জানান, যে তালিকায় তিনি সই করেছিলেন, সেখানে তাঁর নাম একদম প্রথমে ছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে দেখা যায় তাঁর সই তিননম্বরে রয়েছে এক নতুন তালিকায় – আর সেখানে তাঁর সই স্ক্যান করে তৃতীয় স্থানে বসানো হয়েছে! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই কৃষি দপ্তরে কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু পার্থবাবু সেখান অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে, তখন থেকেই জল্পনা চলছিল। আর, এবার কোর কমিটির বৈঠকে তপনবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব, কৃষি দপ্তরের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ওই কমিটি একেবারে ভেঙেই দেয়ার নির্দেশ দিলেন! সব মিলিয়ে, অস্বস্তি স্পষ্ট শাসক শিবিরে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। আপনার মতামত জানান -