এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাঝেরহাটের অস্থায়ী রাস্তায় পাঁচিল তুলল রেল কর্তৃপক্ষ – ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়মহল

মাঝেরহাটের অস্থায়ী রাস্তায় পাঁচিল তুলল রেল কর্তৃপক্ষ – ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়মহল


মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের মাসখানেক হতে চললো – মেরামতির কাজ শুরু হলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি শহরের ব্যস্ততম সেতুটির অবস্থা। তাই সমস্যা এড়াতে নিত্যযাত্রীরা ভাঙা ব্রীজের পাশের অস্থায়ী রাস্তাটাকেই যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বাধ সাধল রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেখানেই পাঁচিল তুলে দিল রেল। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়লেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

এমন বহু যাত্রী আছেন যাঁদের দৈনিক আসা যাওয়া ওই সেতুকে ছাড়া সম্ভবই হয় না। তাই নিজেদের সুবিধার্থে ভাঙা সেতুর পাশের অস্থায়ী রাস্তাটাকেই যাতায়াতের বিকল্প পথ হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও আপত্তি রেল কর্তৃপক্ষের। তবে এটাকে সহজে মেনে নেননি তাঁরা। রেলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব স্থানীয়রা। অভিযোগ, এদিন সকালেও বহু মানুষ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছেন। অথচ রাতে হঠাৎ করেই ওই রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেয় রেল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ফলে, ওই পথ দিয়ে যাতায়াতের যে ন্যূনতম সুবিধাটুকু পাওয়া গিয়েছিল সেটাও বন্ধ হয়ে গেল রেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে। বিক্ষুব্ধ জনতা ওদিন রাতেই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন রেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। কেন যাতায়াতের বিকল্প পথটুকু কেড়ে নেওয়া হল দফায় দফায় এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা, মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিন রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ওভাবে ভাঙা ব্রীজের পাশের অস্থায়ী পথ দিয়ে দৈনিক এতো মানুষ যাতায়াত করলে প্রাণের ঝুঁকি থেকে যায়।

আর তাই, ঝুঁকি এড়াতে ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ওই রাস্তার উপরে পাঁচিল তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের অনুমতি আমজনতার নেই – এমনটাও দাবী করেন তাঁরা। যুক্তিতে পূর্ব রেলের মুখ্য জনংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের উপর দিয়ে চলাচল করা যায়? নিত্যযাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই ওই অস্থায়ী রাস্তায় পাঁচিল দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর দুটো বিকল্প রাস্তার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই পরিকল্পনা মাফিক পূর্ত দফতর দু’টি রাস্তার কাজে হাতও দিয়েছিল। একটি তারাতলার দিক থেকে মাঝেরহাট ব্রিজের পাশ দিয়ে আলিপুরের দিকে। অন্যটি, নিউ আলিপুরের হুমায়ুন কবীর সরণির দিক থেকে আলিপুরের দিকে। কিন্তু, সেই কাজ শেষ হতে প্রায় এক বছর – আর তাই, তার আগে নিজেদের সুবিধার জন্য ‘শর্টকার্ট’ বেছে নিয়েছিলেন আমজনতা – নিরাপত্তার স্বার্থে যাতে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে, সবমিলিয়ে মাঝেরহাট নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!