ইমরান খান তুমি কার? তীব্র তরজা শুরু তৃণমূল-বিজেপির! নির্বাচনের ফলে কতটা প্রভাব ফেলবে এই বিতর্ক? কলকাতা রাজ্য April 19, 2019 বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের একের পর এক ‘স্টান্ট’ নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না! তৃণমূলের প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌস ও গাজি আব্দুন গাজি নুর যোগ দিয়ে সেই আগুনে যেন ঘি ঢেলেছেন! ফিরদৌস হলেন অনেক বাংলা ছবিতেই ‘লিড রোলে’ থাকা অভিনেতা এবং গাজী আব্দুর নূর হলেন ‘রানী রাসমণি’ খ্যাত অভিনেতা। আর এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিলো যে কি করে অন্য দেশের নাগরিক হয়ে তাঁরা এই দেশের লোককে বলতে পারেন যে এই দেশের লোকের জন্য কোন দল ঠিক আর কোন দল ভুল? কি করে এই নির্বাচনী প্রচারে তাঁরা অংশ নিতে পারেন? প্রসঙ্গত, এই দুই অভিনেতাকে তৃণমূলের ভোট প্রচারে দেখার পরই তা নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি পর্যালোচনা করেই বাংলাদেশের দুই অভিনেতাকে দেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। আর এর পরে ফিরদৌস দেশে ফিরে গিয়ে বঙ্গবাসীর উদ্যেশে জানান যে এই কাজ করা তাঁর ঠিক হয়নি তাই তিনি ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু, বাংলাদেশী অভিনেতা ‘নিজের ভুল’ বুঝে ক্ষমা চাইলেও, এই নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এদিন তৃণমূলের এই কাজ নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি আর বাংলাদেশী কোনো অভিনেতা নয়, এবার সরাসরি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আনলেন কটাক্ষ করতে। তিনি বলেন, ‘ইমরান খান শুনছি রাজ্যে আসছেন।’ পাশেই ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি পাস থেকে বলেন যে তাঁর কেন্দ্রেই আসছেন ইমরান খান। আর তার পরেই বাবুলকে পাশে নিয়ে মুকুল রায়ের কটাক্ষ, ‘মুনমুন সেনের প্রচারে ইমরান খান আসছেন শুনছি..’! শোনা যাচ্ছে আসানসোলে মুনমুন সেনের হয়ে ইমরান খান প্রচার করতে আসছেন। আর মুকুল-বাবুলের এই কটাক্ষের পরেই তীব্র ট্রোল শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত, এক সময় গুঞ্জন ছিল ক্রিকেটার তথা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ইমরান খানের ‘খুব ভালো বন্ধু’ ছিলেন মুনমুন সেন। আর এই ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বকেই’ ইঙ্গিত করে একাধিক মিম বা ট্রোল ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বা মুনমুনদেবীর তরফে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায় নি। তবে, এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য যে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিলকুল ‘না-পসন্দ’ তা কিন্তু তাঁদের পাল্টা প্রতিক্রিয়াতেই প্রমাণিত। পাল্টা দিতে তাঁদের বক্তব্য, ইমরান খান তো ‘মোদী-ভক্ত’! ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে ভারত-পাক সম্পর্কের উন্নতি হবে। তাহলে মুনমুন সেন কেন? নরেন্দ্র মোদীর হয়েই প্রচারে আসবেন পাক-প্রধানমন্ত্রী! সব মিলিয়ে, ভারতের রাজনীতি এখন টগবগ করে ফুটছে পাক-প্রধানমন্ত্রী নিয়ে! এই ট্রোল-মিমের ফায়দা যাবে কার পক্ষে, আর কাকে কার্যত ‘পথে বসাবে’ তার উত্তর পাওয়ার জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩ শে মে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -