এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সোমেন মিত্রের বৈঠকের পর কংগ্রেসের “একলা চলা” কার্যত নিশ্চিত, অপেক্ষা শুধু ঘোষণার

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সোমেন মিত্রের বৈঠকের পর কংগ্রেসের “একলা চলা” কার্যত নিশ্চিত, অপেক্ষা শুধু ঘোষণার


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপিকে ঠেকাতে প্রথম থেকেই একে অপরের সাথে জোটের কথা বলে এসেছিল বঙ্গের বিধান ভবন ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা। সেইমতো দু’পক্ষ আলোচনা চালালেও শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্ব বাধল রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি নিয়ে। বামেদের দখলে থাকা এই দুটি আসনে তারা নিজেরা লড়তে চায় বলে প্রথম থেকেই দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। আর এবার সেই মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ আসনে বামেরা যদি লড়ে তাহলে সারা রাজ্যে বামেদের সাথে তাদের আর কোনো জোট হবে না বলে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাথে বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র।

সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা নিয়ে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মত জানার পর বঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, আব্দুল মান্নান এবং শংকর মালাকারদের মতো অন্যান্য নেতাদের ডেকে পাঠান কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর সেখানেই এই সমস্ত নেতাদের কাছ থেকে তিনি জানতে চান যে, বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে তাদের মতামত কি? জানা গেছে, এইখানেই রাহুল গান্ধীকে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা জানিয়ে দেন, রাজ্যে বর্তমানে যে সমস্ত জায়গায় কংগ্রেসের সাংসদ রয়েছে সেগুলোতে কারও সাথে জোট না হলেও তারাই জিতবে। তবে বাকি থাকা মুর্শিদাবাদ আসনেও এবার তাদের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে রায়গঞ্জেও এবার তারা তাদের প্রার্থী হিসেবে দীপা দাশমুন্সিকে দাঁড় করাতে চাইছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই সেদিক থেকে বামেদের সাথে জোট হলেও এই রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদে তারাই প্রার্থী দেবে। অন্যদিকে বামেরাও এই রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রটিতে প্রার্থী না দেওয়া থেকে সরে আসতে নারাজ। তাহলে সেক্ষেত্রে কিভাবে জোট সম্ভব হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “এই দুটি আসন যদি বামেরা না ছাড়ে তাহলে গোটা রাজ্যে আমরা একা লড়ার পক্ষে। আর তাতে কংগ্রেসের ভালোই ফল হবে।” পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র আরও বলেন, “যদি বামেদের সঙ্গে জোট হয় তাহলে খোলা মনে জোট করতে হবে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই জোট বজায় রাখতে হবে। কোনো মতেই যেন ২০১৬ সালের মতো পরিস্থিতি না হয়।” সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের এহেন প্রস্তাবে কিছুটা হলেও অখুশি হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।

জানা গেছে, সোমেন মিত্রের কিছুটা বিরুদ্ধে গিয়েই এদিনের বৈঠকে তিনি দাবি করেছেন যে, বিজেপিকে যদি হারাতে হয় তাহলে সিপিএমের সাথে জোট করতে হবে। না হলে খুব বেশি আসনে বাংলায় কংগ্রেস জিততে পারবে না। এমনকি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাথে বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের দেওয়া প্রস্তাবে যে তিনি অখুশি তা স্পষ্ট হয়ে যায় যখন এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে সোমেন মিত্র অন্যান্য নেতাদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন, ঠিক তখনই আপন মনে গাড়ি করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা বাংলায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। কেন তিনি এইভাবে বেরিয়ে গেলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান বলেন, “আমার সাথে কারো কোনো মতবিরোধ নেই। অন্য একটু কাজ ছিল বলেই বৈঠক শেষ হতেই চলে এসেছি। শুধু এতটুকু বলতে পারি আমি বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে জোট চাই। এরপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাহুল গান্ধী নেবেন।” সব মিলিয়ে এবার বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট নিয়ে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনই বড় কাঁটা হতে চলেছে। এখন সেই কাঁটাকে ঠিক কিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারে এই দুই দল সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!