BIG BREAKING – শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত! চমকে গেল রাজ্য-রাজনীতি! উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য May 16, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এখন নানা মহলে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেখানে বিদায়ী বোর্ডের মেয়রকে প্রশাসক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি শিলিগুড়ি পৌরসভাতেও এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছিল। যেখানে বিরোধীদের দখলে এই পৌরসভা থাকলেও, সেখানে প্রশাসক হিসেবে অশোক ভট্টাচার্যকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। তবে সেই প্রশাসক বোর্ডে তৃনমূলের বেশ কিছু কাউন্সিলরকেও রাখা হয়েছিল। আর এতেই সরকারের দুমুখী নীতি রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলে সেই প্রশাসক থেকে সরে আসার কথা জানান অশোক ভট্টাচার্য। তবে অশোকবাবুর বিরোধীতার পরেই শিলিগুড়ি পৌরসভার জন্য বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠনের জন্য নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। যেখানে তৃনমূলের পাঁচ কাউন্সিলরকে ব্রাত্য রেখে বিদায়ী মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদ সদস্যদের রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, এককথায় বামেদের সকলকেই রাখা হয়েছে। আর অশোক ভট্টাচার্য প্রথমে যে কথা বলে প্রশাসক পদ প্রত্যাখ্যানের কথা বলেছিলেন, এবার তার সেই আবদার রেখে অর্থাৎ শাসকদলের সকলকে বাদ দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তাকে রীতিমত স্বাগত জানালেন সেই অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ আগেই আমি শিলিগুড়ি পৌরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠনের একটা রিভাইস অর্ডার দেখলাম। তাতে আমাদের বিগত বোর্ডের মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং পরিষদের সদস্যদের শুধু রাখা হয়েছে। তৃণমূলের 5 জন নির্বাচিত কাউন্সিলরের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমরা এই দাবিই করেছিলাম। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কলকাতা সহ বিভিন্ন পৌরসভায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই ব্যবস্থাই যেন শিলিগুড়িতে নেওয়া হয়, সেটাই ছিল আমাদের দাবি। শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি না এবং জনসমক্ষে তা জানিয়েও দিয়েছিলাম। রাজ্য সরকার বাস্তবতা অনুভব করে সমস্ত বিষয়টি পুনর্বিবেচনার করেছেন। তার জন্য আমরা মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।” রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, হঠাৎ কেন রাজ্য সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিল! তাহলে কি শিলিগুড়ি পৌরসভার ক্ষেত্রে রাজধর্ম পালন করার পাশাপাশি অশোক ভট্টাচার্যের বক্তব্য মেনে নিয়ে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল প্রমাণ করার চেষ্টা করল যে, তারা বিরোধীদের মতকেও গুরুত্ব দেয়! যদি সত্যিই এই রকম কোনো ঘটনা প্রবাহ চলে, তাহলে রাজ্য সরকারের উদারতা প্রকাশ পেল। অন্যদিকে এরফলে অশোক ভট্টাচার্যের জয় হল বলেও মনে করছে বামেরা। কেননা তিনি এই গোটা পদ্ধতির বিরোধিতা করেছিলেন। ফলে তার বক্তব্য শুনে রাজ্য সরকার যেভাবে তা সংশোধন করল, তাতে রাজ্য পরোক্ষে অশোকবাবুর বক্তব্য মেনে নিয়েছে বলেই দাবি করছেন সিপিএমের একাংশ। সব মিলিয়ে এখন প্রথমে প্রশাসক বোর্ড গঠন করেও, এবার সেখানে সংশোধনী এনে বামেদের পরিচালিত পৌরসভায় বামেদের জনপ্রতিনিধিদেরই বোর্ডে রাখতে হল রাজ্য সরকারকে। আর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -