নয়া চমক তামিল রাজনীতিতে – ডিএমকে-কংগ্রেস-কমল হাসানের টানাপোড়েনে জমজমাট দক্ষিণ ভারত জাতীয় October 15, 2018 লোকসভা ভোটের আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার স্পষ্ট বার্তা দিলেন এমএনএম সুপ্রিমো কামাল হাসান। তবে তার জন্য রাহুল গান্ধীর সামনে রাখা হয়েছে একটি শর্ত। তাঁকে ছাড়তে হবে ডিএমকের সঙ্গ। সম্প্রতি স্থানীয় একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজের নতুন সমীকরণের কথা প্রকাশ্যে জানালেন দক্ষিণী তথা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং তালিমনাডুর বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কমল হাসান। রূপালি পর্দার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই তালিমনাড়ুতে একটি রাজনৈতিক দল গড়েছেন হাসান। নাম দিয়েছেন ‘মাকাল নিধি মইয়াম’ এবং দলগঠনের পরই জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। সেখানে আলোচনা হয়েছিল তামিলনাড়ুর টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। তবে আগামী দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই – তখন এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। সে পরিকল্পনাকে মিথ্যা করে কংগ্রেসের সঙ্গে এক ছাতার তলায় আসার কথা ভেবেছেন তিনি বর্তমানে। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন এটাও, ডিএমকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে তবেই কংগ্রেসের হাত ধরবেন এমএনএম নেতৃত্ব। তবে কেন ডিএমকের হাত ছাড়তে বললেন কংগ্রেসকে তিনি জোট গড়ার শর্ত হিসাবে? এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল ফেলেছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে জানা গিয়েছে, দুর্নীতি দমনের ইস্যুকে সামনে রেখেই ডিএমকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় চলার বরাবরই পক্ষপাতী হাসান। আর সে কারণেই কংগ্রসের উপর এই শর্ত চাপিয়েছেন তিনি জোট গড়ার প্রশ্নে। তাছাড়া কাবেরি জলবন্টন ইস্যু নিয়েও ডিএমকের উপর ক্ষুব্ধ হাসান। এই সমস্যার সমাধানে ডিএমকের তৎকালীন কার্যকারী সভাপতি এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে সরাসরি দেখাও করেন তিনি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছুই। বরং ডিএমকে এবং তার শরিক দলগুলোর থেকে চূড়ান্ত অসহযোগিতাও পেয়েছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগে জানিয়েছেন হাসান। এই পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট ভেঙে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দেখেই কংগ্রেসের উপর জোট গড়ার শর্ত চাপিয়েছেন তিনি, এমনটাই সাফ কথায় এদিনের সাক্ষাৎকারে জানালেন হাসান। তিনি বললেন, রাহুল গান্ধী যদি সত্যিই ডিএমকে-র সঙ্গ ছাড়েন তাহলে জোট গড়তে আপত্তি নেই তাঁর এবং এই জোট গড়েই লোকসভা ভোটের ময়দানে নামতেও প্রস্তুত তিনি। এর সঙ্গেই তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, সব কিছুর উপরে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য দুর্নীতিমুক্ত তামিলনাড়ু গড়া। এবার এমএনএম নেতৃত্বের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে কংগ্রেস ডিএমকে-র হাত ছাড়েন কিনা সেটাই দেখার। বলাবাহুল্য, তামিল রাজনীতিতে কমল হাসানের প্রভাব যথেষ্ট। সেলুলয়েডের ক্যারিশমা তাঁকে স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয় করে তুলেছে রাজনীতির অঙ্গনে। অন্যদিকে, সপা-বসপা-র মতো রাজনৈতিক দলগুলো জোট গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার সমস্ত সম্ভাবনা নস্যাৎ করেছে সম্প্রতি। এই জোড়া ধাক্কার মুখে লোকসভা ভোটের আগে তারকা-রাজনীতিবিদ কমল হাসানের সঙ্গে জোট গড়ার ডাকে রাহুল গান্ধী সাড়া দেন কিনা নিয়ে তামিল রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে তা নিয়েই। আপনার মতামত জানান -